মাথায় নতুন চুল গজানোর উপায়

মাথায় নতুন চুল গজানোর উপায়,কপালে নতুন চুল গজানোর উপায়,কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজায়,মাথার সামনের চুল গজানোর উপায়,ছেলেদের নতুন চুল গজানোর উপায়,নতুন চুল গজানোর তেল,ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ নতুন চুল গজানোর ঔষধ,ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ নতুন চুল গজানোর উপায়,চুল পড়া বন্ধ নতুন চুল গজানোর ঘরোয়া উপায়


 

মাথায় নতুন চুল গজানোর উপায়,কপালে নতুন চুল গজানোর উপায়,কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজায়,মাথার সামনের চুল গজানোর উপায়,ছেলেদের নতুন চুল গজানোর উপায়,নতুন চুল গজানোর তেল,ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজানোর ঔষধ,ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজানোর উপায়,চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজানোর ঘরোয়া উপায়
মাথায় নতুন চুল গজানোর উপায়

 Image by krakenimages.com on Freepik


মাথায় নতুন চুল গজানোর উপায়

আপনার কি চুল পড়ে যাচ্ছে কিংবা মাথার চুল পাতলা হয়ে যাচ্ছে? এমন সমস্যা  আমাদের অনেকেরই হয়ে থাকে।এই রকম সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আমাদের কিছু কাজ করতে হবে। তার মধ্যে একটি হলো চুল ঝরে যাওয়া রোধ করতে হবে, অন্যটি হলো নতুন চুল গজানোর ব্যবস্থা করতে হবে। তো চলুন উপায়গুলো জেনে নেই-


আসল সত্য হলো, মানুষের বয়স বাড়ার কারণে কিংবা বংশগত বা অন্য কারণে  চুল পড়ে যেতে থাকে। ফলে  আমাদের মন খারাপ হওয়ার সাথে সাথে কৈশোরের মত চুল মাথায় গজানোর সাধ জাগে। আমাদের চুলেরত্বকে আমরা যদি উদ্দীপনা দিতে পারি, তবে মাথায় নতুন চুল গজানো অসম্ভবের কিছু নয়। যদি প্রতিটি চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালনের ব্যবস্থা করা যায়, তবে ইনশাআল্লাহ নতুন চুল গজানো  সম্ভব।


মাথায় নতুন চুল গজানোর উপায়


উপায়-১

 চুলগুলো ম্যাসাজ করার ব্যবস্থা করতে হবে। ফলে চুলের গড়ায় রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যাবে এবং ত্বক  উদ্দীপিত হবে। ১ টেবিল চামচ ভিটামিন ’ই’ নিয়ে মাথায় ম্যাসাজ করতে হবে। কারণ,ভিটামিন ই চুলের জন্য প্রয়োজনীয় নিউট্রিশন সরবরাহ করে থাকে। ভিটামিন ’ই’ এর সাথে যদি  চা এর নির্যাস যোগ করা যায়,তবে অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। এই দুটো  উপাদান ভালো ভাবে মিশিয়ে হাতের তালু এবং আঙ্গুলের সাহায্যে পুরো মাথার চুলের গোড়ায় গোড়ায় লাগাতে থাকুন। এভাবে  ৫-৬ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এরপর মোটা দাঁত সম্বলিত  চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিন।এমনকি  চুলগুলোকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করুন এবং সম্পূর্ণ চুল আঁচড়ে নিন।


কিছু সময় পর সাধারণ ভাবে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার দিয়ে চুল পরিস্কার করে নিন। চুল গজানোর জন্য দিনে কমপক্ষে ৩ বার ম্যাসাজ করুন। তবে  বারবার শ্যাম্পু ব্যবহার না করাই ভাল। কারণ,অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করলে চুলের ক্ষতি হতে পারে।


 উপায়-২

আমাদের চুলের গোঁড়ায় হেয়ার ফলিকল উপাদান থাকে। ভাইব্রেশনের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যদি ফলিকল উদ্দীপিত করা করা গেলে নতুন চুল গজানো সম্ভব হবে।হয়তো বলতে পারেন,ভাইব্রেশন কি বা কোথায় পাওয়া যাবে। চিন্তার কোন কারণ নেই,এটি বাজারে  কিনতে পাওয়া যায়। এর সাহায্যে আপনি ত্বকে চক্রাকারে  বা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মাথায় ভাইব্রেটিং ম্যাসাজ করাতে পারবেন। মনে রাখবেন, যে জায়গায় বেশি চুল পড়ে যাচ্ছে, তাতে বেশি যত্ন নিতে হবে। কমপক্ষে  ৫ থেকে ১০ মিনিট আপনার ত্বকে ভাইব্রেট করতে থাকুন। ভাল ফলাফলের জন্য দিনে ৩ বার ব্যবহার করুন।

 উপায়-৩

ভাল ব্র্যান্ডের  শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে যেটা আপনার ত্বকের  মৃত কোষগুলো ঝরে যেতে সাহায্য করবে। কারণ, মৃত কোষগুলো ত্বকের ফলিকল ব্লক করে রাখে, এতে নতুন চুল গজাতে সমস্যা হয়। আর ফলিকল ব্লক হওয়া মানে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন কমে যায়। সামান্য  শ্যাম্পু নিয়ে মাথায় ম্যাসাজ়ের মত করে লাগিয়ে দিন এবং  ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।  আর এই কাজটি  দিনে  ১ বার করতে হবে।


মাথার নতুন চুল গজানোর জন্য খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা

মাথায় নতুন চুল গজানোর উপায়,কপালে নতুন চুল গজানোর উপায়,কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজায়,মাথার সামনের চুল গজানোর উপায়,ছেলেদের নতুন চুল গজানোর উপায়,নতুন চুল গজানোর তেল,ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজানোর ঔষধ,ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজানোর উপায়,চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজানোর ঘরোয়া উপায়

Image by wayhomestudio on Freepik

প্রোটিন গ্রহণ

মাথার চুল গাজানোর জন্য আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে- মূলত আমাদের চুল  গঠিত। এই প্রোটিন অ্যামাইনো এসিড দ্বারা গঠিত। আর  নতুন চুল গজানোর জন্যে অবশ্যই মানুষের  শরীরকে পর্যাপ্ত অ্যামিনো এসিড সরবরাহ করতে হয়। আমরা যে সকল খাবার হতে অ্যামাইনো এসিড পেতে পারি তা হচ্ছে; মাছ, মাংস, পনির, দুধ, ডিম ইত্যাদি।চুল গজানোর জন্য এসব খাবার গুলো অবশ্যই আমাদের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। এমনকি সয়াবিন, মটরশুঁটি, কলা, বাদাম পাওয়া যেতে পারে এমন ভিটামিন।

আয়রন আর জিঙ্ক

মানুষের চুলের গোড়ায় অক্সিজেন সরবরাহ করা,ক্ষয়রোধ এবং নতুন টিস্যু তৈরি করতে আয়রণ আর জিঙ্কের জুড়ি নেই। মানে আয়রন আর জিঙ্ক নতুন এবং  খুব দ্রুত চুল গজানোর জন্যে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।  আমরা মটরশুঁটি, বাদাম, কলিজা, মাংস, দুধ ইত্যাদি খাদ্যে   প্রয়োজনীয় জিংক আর আয়রন পেতে পারি।

ভিটামিন সি

চুলের বৃদ্ধি এবং চুল গজানোর জন্য ভিটামিন সি খুবই প্রয়োজন। আমরা পেয়ারা, লেবু, কমলা, আনারস, কামরাঙা, কাঁচা মরিচ হতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি পেতে পারি। তাই আমাদের  চুলের বৃদ্ধি এবং গজানোর জন্য ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাব।

কালোজিরা

কালোজিরা নতুন চুল গজাতে খুবই গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই মাথায় কালোজিরার তেল ব্যবহার করা এবং খাবারে কালোজিরা ব্যবহার করা অনেক ভাল কারণ হাদিসের কথা অনুযায়ী,কালোজিরা মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের মহৌষধ।

আর কিছু যত্ন

  • নিয়মিত চুল পরিষ্কার করতে হবে এবং আঁচড়াতে হবে। তবে  অতিরিক্ত চুল আঁচড়ানো যাবেনা।এতে চুল ঝরে যেতে পারে।
  •  নিয়মিত পেঁয়াজ এর রস চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে ১০ মিনিট রাখলে মাথায় নতুন চুল গজাবে। মেহেদি পাতা কিছু দিন একাধিকবার ব্যবহার করুন। পাতা বেটে লাগিয়ে রাখুন এবং পরে  শ্যাম্পু করে ফেলুন।
  • আপনি চাইলে শুকনা আমলকি পানিতে ভিজিয়ে লাগাতে পারে
  •   ১০০% খাঁটি কালো জিরা তেল বা তার নির্যাস বেশি বেশি ব্যবহার করতে পারেন।


শেষ কথা

পদ্ধতিগুলো মেনে চলার পাশাপাশি চুলের যত্ন নিন। এতে আপনার টাক মাথায় এক সময় ‍চুল গজাতে শুরু করবে, ইনশাআল্লাহ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url