পেঁয়াজের রস মাথায় কতক্ষন রাখা উচিত

বন্ধুরা,আজ আমি তোমাদের সাথে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করব; তা হচ্ছে- পেঁয়াজের রস মাথায় কতক্ষন রাখা উচিত,নতুন চুল গজাতে কীভাবে মাথায় পেঁয়াজের রস ব্যবহার করবেন,পেঁয়াজের রস চুলে লাগালে কি হয়,পেঁয়াজের রস কি চুল গজায়,চুলের জন্য পেঁয়াজের উপকারিতা অপকারিতা,পেঁয়াজের রস মুখে দিলে কি হয়,চুলের জন্য পেঁয়াজের অপকারিতা,পেঁয়াজের রসের অপকারিতা,পেঁয়াজের রস কিভাবে চুলে ব্যবহার করব?

পেঁয়াজের রস মাথায় কতক্ষন রাখা উচিত,নতুন চুল গজাতে কীভাবে মাথায় পেঁয়াজের রস ব্যবহার করবেন,পেঁয়াজের রস চুলে লাগালে কি হয়,পেঁয়াজের রস কি চুল গজায়,চুলের জন্য পেঁয়াজের উপকারিতা ও অপকারিতা,পেঁয়াজের রস মুখে দিলে কি হয়,চুলের জন্য পেঁয়াজের অপকারিতা,পেঁয়াজের রসের অপকারিতা,পেঁয়াজের রস কিভাবে চুলে ব্যবহার করব?
পেঁয়াজের রস মাথায় কতক্ষণ রাখা উচিত

Image by Steve Buissinne from Pixabay



 পেঁয়াজের রস  মাথায় নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এমনকি  চুলের গোড়া মজবুত ও চুল পড়া বন্ধে এই রস গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে আমরা অনেকেই জানি না কীভাবে মাথায় পেঁয়াজের রস ব্যবহার করবো। এই রসের সাথে কিছু প্রাকৃতিক উপাদান মেশালে এর কার্যকারিতা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
তো চলুন জেনে নেই পেঁয়াজের রস মাথায় কতক্ষণ ব্যবহার করবেন ও কিভাবে ব্যবহার করবেন-

১. প্রথমে পেঁয়াজ কেটে নিন।ব্লেন্ডার করুন।তারপর রস বের করে করে চুলের ত্বকে লাগিয়ে দিন।৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর ভাল মানের  বা ব্রান্ডের শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। 

২. আবার পেঁয়াজের রসের সাথে সামান্য কুসুম গরম পানি মিশিয়ে ব্যবহার করলে ভাল ফলাফল পাওয়া যায়। গোসলের পর এই পানি দিয়ে মাথা ভালো করে ধুয়ে নিবেন। তার ১ দিন পর মাথায় শ্যাম্পু করে ফেলুন। এতে মাথা থেকে পেঁয়াজের গন্ধ আসলেও এই পানি চুলের জন্য  বেশ উপকারী।

৩. পেঁয়াজের রসের সাথে নারকেল তেল ও কয়েক ফোটা এসেনশিয়াল তেল মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগান। কারণ এ তেলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিজেন,অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান। তেল ব্যবহার করার এক ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে মাথার চুল ধুয়ে ফেলুন।

৪. ২ চামচ পেঁয়াজের রসের সাথে ১ চা-চামচ মধু মিশিয়ে চুলের ত্বকে লাগান। তারপর ১৫ - ২০ মিনিট পর  শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। পুরো সপ্তাহে  উক্ত উপাদান ১ বার করে চুলের গোড়ায় ব্যবহার করুন।

৫. পেঁয়াজ বাটার সাথে অলিভ অয়েল মিশিয়ে চুলের  ত্বকে লাগান। ২ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।

পেঁয়াজের রস চুলে লাগালে কি হয়
পেঁয়াজের রসে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান,যা মাথার খুশকি দূর করতে খুবই কার্যকর।তাছাড়া পেঁয়াজের রসে রয়েছে অ্যালিসিন নামক উপাদান,যা চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে।আর এসব কারণে পেঁয়াজের রস চুলে লাগাতে হয়।


চুলের জন্য পেঁয়াজের অপকারিতা
পেঁয়াজে রয়েছে অ্যাক্সালিক এসিড,যা চুলের গোড়ায় বেশি ব্যবহার করলে মাথার ত্বক ‍শুষ্ক হয়ে যাবে।ফলে মাথায় নতুন চুল গজানোর পরিবর্তে চুল মাথা থেকে ঝরতে শুরু করবে।এমনকি এটি অধিক ব্যবহার করার কারণে আপনার ত্বক খসখসে হয়ে যেতে পারে।তাই বুঝে শুনে ব্যবহার করবেন।

পেঁয়াজের রস মুখে দিলে কি হয়

ত্বকে দাগ পড়া একটি বিরক্তিকর ব্যাপার।তাই এই দাগ দূর করতে আমরা কতই না চেষ্টা করি।আর এ কাজটি পেঁয়াজে থাকা উপাদান দিয়ে দূর করা সম্ভব।কারণ পেঁয়াজে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-পিগমেন্টেশন উপাদান,যা ত্বকের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। তাই কারো ত্বকে দাগ থাকলে তিনি চাইলে এটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

পেঁয়াজের রস কিভাবে চুলে ব্যবহার করব?

প্রথমে পেঁয়াজ কেটে নিন।পেঁয়াজের কাটা অংশগুলো ব্লেন্ডার করুন। তারপর রস ছেঁকে নিন।রস পাতলা করে নিয়ে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন। ৩০ মিনিট পর ভাল মানের শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধুয়ে ফেলুন।

কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার উপকারিতা
পেঁয়াজের রস মাথায় কতক্ষন রাখা উচিত,নতুন চুল গজাতে কীভাবে মাথায় পেঁয়াজের রস ব্যবহার করবেন,পেঁয়াজের রস চুলে লাগালে কি হয়,পেঁয়াজের রস কি চুল গজায়,চুলের জন্য পেঁয়াজের উপকারিতা ও অপকারিতা,পেঁয়াজের রস মুখে দিলে কি হয়,চুলের জন্য পেঁয়াজের অপকারিতা,পেঁয়াজের রসের অপকারিতা,পেঁয়াজের রস কিভাবে চুলে ব্যবহার করব?
Image by Joseph Mucira from Pixabay

কাঁচা পেঁয়াজ আমরা অনেকেই পছন্দ করি আবার কেউবা এটার তীব্র ঘ্রাণের  জন্য এটা পছন্দ করেন না। তবে পছন্দ করেন বা নাই করেন আমি বলব যে, কাঁচা পেঁয়াজের রয়েছে অনন্য বৈশিষ্ট্য যা আপনার দেহের জন্য অনেক উপকার বয়ে আনবে। তো চলুন কি কি উপকার বয়ে আনবে সেগুলো আমরা জেনে নেই -

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে

 ভিটামিন ’সি’ সমৃদ্ধ কাঁচা পেঁয়াজ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহযোগিতা করে থাকে। তাছাড়া এটি শ্বেত রক্তকণিকা তৈরিতে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে। ব্যাকটেরিয়া ও  ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে শ্বেত রক্তকণিকা বদ্ধপরিকর। তাছাড়া বাচ্চা কিংবা বয়স্কদের ঠান্ডা লাগা এবং অন্যান্য অসুস্থতার ক্ষেত্রেও এটি কার্যকর ভুমিকা পালন করে থাকে। 

হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখে

কাঁচা পেজে রয়েছে দারুন এন্টিঅক্সিডেন্ট, যা আমাদের শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কে কমিয়ে দেয় এবং  হাটের স্বাস্থ্যকে উন্নত করে। তাছাড়া এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। পাশাপাশি আমাদের হৃদরোগ তথা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে থাকে।

হজমে সহায়তা

 ডাইরেটরি ফাইবার সমৃদ্ধ কাঁচা পেঁয়াজ, যা হজম শক্তি বাড়াতে ও শরীর থেকে ‍দুষিত পদার্থ  বের  করে দিতে সহায়তা করে।তাছাড়া এটি ফাইবার পুষ্টির শোষণ বাড়াতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহযোগিতা করে থাকে।

প্রদাহ কমায়

 কাঁচা পেঁয়াজ প্রদাহ হ্রাস করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কারণ, এতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান। আর  এর উপাদান যে কোন প্রদাহ দূর করতে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া যাদের আর্থ্রাইটিস, এজমা বা শ্বাসকষ্ট রয়েছেএবং ব্রঙ্কাইটিস এর মত সমস্যা রয়েছে সে ধরনের সমস্যা দূর করতে কাঁচা পেয়াজের রয়েছে উপযোগী বৈশিষ্ট্য। 

হাড় মজবুত করে

 সালফার সমৃদ্ধ কাঁচা পেঁয়াজ  যে যৌগগুলো রয়েছে এটি আমাদের হাড়কে মজবুত করে থাকে। তাছাড়া কাঁচা পেঁয়াজ ক্যালসিয়াম ঘাটতি পূরণ করে এবং অস্ট্রিওপোরোসিসের  ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।

মস্তিষ্ক ভালো রাখে

মস্তিষ্ক ভালো রাখতে কাঁচা পেঁয়াজের  ভূমিকা রয়েছে। আমাদের মস্তিষ্কে নিউরোট্রান্সমিটার এর  উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়।তাই স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কাঁচা পেঁয়াজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে
কাঁচা পেজে রয়েছে এন্টি এক্সিডেন্ট এবং সালফারের বিভিন্ন যৌগ, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে থাকে। এমনকি কাঁচা পেঁয়াজে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যেটি আমাদের দেহের ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি করতে বাধা প্রদান করে।

ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে

উচ্চমাত্রার একটি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কাঁচা পেঁয়াজ, আমাদের ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া আমাদের ত্বকের বলিরেখা, বয়সের ছাপ বা দাগ রয়েছে তা কমিয়ে দেয়। ফলে আমাদের ত্বক সুন্দর এবং উজ্জ্বল বর্ণের হয়ে থাকে।

 শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
ক্রোমিয়াম সমৃদ্ধ কাঁচা পেঁয়াজ শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ইনসুলিনের মান উন্নত করতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। যার কারণে আমাদের রক্তে শর্করার মাত্রা কম থাকে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস পায়।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url