ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজানোর ঔষধ
বন্ধুরা আজ আমি তোমাদের সাথে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করব- তা হচ্ছে; ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজানোর ঔষধ,ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম,মেয়েদের চুল পড়া বন্ধ করার উপায় ঔষধ,ছেলেদের নতুন চুল গজানোর উপায়,মিনোক্সিডিল কি চুল গজায়,মেয়েদের চুল গজানোর ঔষধ,চুল পড়ার ডাক্তারি চিকিৎসাছেলেদের চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজানোর উপায়,টাক মাথায় চুল গজানোর উপায়
Image by Racool_studio on Freepik
ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজানোর ঔষধ
নারী কিংবা পুরুষ সকলেই চুল পড়া সমস্যায় কম বেশি ভোগে থাকেন। তবে নারীর চেয়ে পুরুষরা এই সমস্যা বেশি ভোগে থাকেন। কারণ,তারা বেশিরভাগ সময় বাইরে কাটান এবং চুলের যত্ন কম নেন।আর নারীরা চুলের যত্ন বেশি নেন এবং তারা ঘরের ভিতরে থাকে অবস্থান করেন। তো এসব বিরক্তকর সমস্যা থেকে কিভাবে একজন পুরুষ মুক্তি পেতে পারে কিংবা তার চুল পড়া কিভাবে বন্ধ হতে পারে, সেই উপায়গুলো আজকে জানিয়ে দিব। তো চলুন উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক-
ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ব্যবহার
ভিটামিন ই ক্যাপসুল চুল পড়া রোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। কারন এটি চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া ভাল রাখে অর্থাৎ রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া চুলের গোড়ায় ফলিকল উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। তাছাড়া এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল চুলের স্বাস্থ্যকর রঙ বজায় বা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
খাদ্যাভাস পরিবর্তন
খাদ্যাভাস পরিবর্তন করেও চুলের চুল পড়া প্রতিরোধ করা যায় ।তাই খাদ্য তালিকায় আমরা প্রোটিন জাতীয় খাবার রাখতে পারি। যেমন- চর্বিযুক্ত, মাছ, মাংস ইত্যাদি প্রোটিন জাতীয় খাবার। এগুলো চুল পড়া বন্ধ ও চুলের উন্নতি সাধন করতে সাহায্য করে।
নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখা
নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখতে হবে। এতে করে চুলের গোড়ায় যে ময়লা জমে থাকে; সেটি আর জমবে না। ফলে এই নিয়মি চুল পড়া বন্ধ করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। কারণ অপরিষ্কার চুল থাকলে খুশকি সমস্যা হয় এবং মাথার ত্বকের সমস্যা বেড়ে যায়।
ভেজা চুল আঁচড়ানো
মনে রাখবেন, ভেজা চুল কখনো আঁচড়ানো যাবে না। আর এই কাজটি অনেক পুরুষই মেনে নেয় না বা মানে না। ভেজা অবস্থায় চুলের গোড়া নরম থাকে বলে চিড়ুনি দিয়ে আঁচড়ালে চুল পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই ভেজা অবস্থায় কখনো চুল আঁচড়ানো যাবে না।
রসুন আদা বা পেঁয়াজের রস এর ব্যবহার
আমরা যদি ঘরোয়া উপায়ে কিছু উপায় অবলম্বন করি, তাহলে আমরা আমাদের চুল পড়া রোধ করতে পারবো। যেমন- রসুন আদা বা পেঁয়াজের রস এর ব্যবহার করে আমরা চুল পড়া প্রতিরোধ করতে পারি। পেঁয়াজ,রসুন কিংবা আদা হতে রস বের করে রাতে মাথার ত্বকে বা চুলের গোড়ায় ব্যবহার করতে হবে। সারারাত চুলের গোড়ায় রেখে দিয়ে সকালে ভালো মানের বা ভালো ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। কমপক্ষে এক সপ্তাহ পর্যন্ত এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যেতে পারে।
ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা
শরীরে যদি পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশনের সমস্যা থাকে- তাহলে চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে। তাই খেয়াল রাখতে হবে যাতে শরীরে পানিশূন্যতা বা ডিহাইডেশন জনিত সমস্যা না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। সেজন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ২-৩ লিটার পানি পান করত হবে।
গ্রিন টি এর ব্যবহার
গ্রিন টি ব্যবহারের ফলে চুল পড়া সমস্যা কমে যায়। তাই ১ গ্লাস পানিতে ২ টি গ্রিন টি ব্যাগ মিশিয়ে নিন। তারপর ঠান্ডা করে সেই উপাদানটি চুলের গোড়ায় আলতোভাবে ব্যবহার করুন। ১ ঘন্টা পর ধুয়ে ফেলুন। এভাবে ৭ - ১০ দিন টানা ব্যবহার করুন। আশা করি, চুল পড়া রোধ হবে।
তৈলাক্ত ত্বক
মাথার ত্বক যদি বেশি তৈলাক্ত থাকে- তাহলে চুল পড়া সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। কারণ অনেকের বেশি ঘাম হয়ে থাকে। ঘামের কারণে মাথার ত্বকে ময়লা জমে যেতে পারে। আর ময়লা জমলে চুল পড়া সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। এজন্য আমরা অ্যালোভেরা ও নিম যুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করব যার কারণে আমাদের মাথা ঠান্ডা থাকবে ও চুল পড়া রোধ হবে। Food And Drug Administration (FDA)
কর্তৃক স্বীকৃত ও গবেষণা দ্বারা পরীক্ষিত ওষুধ মিনোক্সিডিল যা নিশ্চিত চুল গজাতে সক্ষম। আর এই ওষুধটি প্রাথমিক ভাবে ব্যবহার করা হয় চুল গজানো, বৃদ্ধি ও পুরুষ অথবা মহিলার টাক সমস্যা সমাধানের জন্য। মিনোক্সিডিল মূলত ভাসোডিলেটর হিসেবে স্বীকৃত ওষুধ বিভাগের অন্তর্ভূক্ত একটি ঔষধ। ভাসোডিলেটর হল এমন একটি ওষুধ যা রক্তনালীগুলোকে প্রশস্ত করে এবং শিথিল করে, ফলে এদের মধ্য দিয়ে রক্ত ও অন্যান্য তরল আরও সহজে প্রবাহিত হতে পারে। এই ভাল মানের ওষুধটি ত্বকের উপর টপিক্যাল বা বাহ্যিকভাবে প্রয়োগ করা হয়। আর মিনোক্সিডিল যখন মুখের মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়, তখন এই ওষুধটি অ্যান্টিহাইপারটেনসিভ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। শুধু কি তাই?এটি উচ্চ রক্তচাপযুক্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্যও ব্যবহার করা হয়। এমনকি এলোপেসিয়ার মতো রোগের চিকিৎসার জন্য এই ওষুধটি প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী বা প্রেসক্রিপশন ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে। তাছাড়া ও পাতলা চুলের সমস্যা, অতিরিক্ত চুল পড়া, টাক সমস্যা ইত্যাদির সমাধান হিসেবে মিনোক্সিডিল ঔষধ ব্যবহার করা হয়।