হার্ট ভালো রাখার উপায়
হার্ট ভালো রাখার উপায়,হার্ট ভালো আছে বুঝার উপায়,হার্ট ভালো রাখার খাবার,হার্ট ভালো রাখার ব্যায়াম,দুর্বল হার্ট সবল করার উপায়,হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার,হার্টের রোগীর জন্য দুধ,হার্ট দুর্বল হলে কি খাওয়া উচিত,হার্টের সমস্যা বোঝার উপায়
![]() |
হার্ট ভাল রাখার উপায় |
হাট হচ্ছে আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্গান বা অঙ্গ। যাকে আমরা হৃদপিণ্ড বলে থাকি। এ হার্ট আপনার অযত্নে অবহেলায় দুর্বল হয়ে যেতে পারে বা নষ্ট হয়ে যেতে পারে বা অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। তো এই হার্ট কে ভালো রাখতে হলে আপনি অবশ্যই সচেতন হবেন এবং সচেতন হলেই কিন্তু আপনার হার্ট সুস্থ ও সতেজ থাকবে। তো কিভাবে আপনি হাটকে সুস্থ ও সবল রাখবেন? কিছু পদ্ধতি বা উপায় অবলম্বন করতে হবে। তো আসুন জেনে নেই কি কি পদ্ধতি বা উপায় আমাদেরকে জানতে হবে। আমাদেরকে ধূমপান ছেড়ে দিতে হবে, নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে, মানুষের দুশ্চিন্তা বাদ দিয়ে দিতে হবে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এই ধরনের অভ্যাস গুলো প্রতিদিন মেনে চলুন, তাহলে আপনি আপনার হৃদপিন্ড বা হার্টকে সুস্থ ও সবল থাকতে পারবেন। তো আসুন জেনে নেই কি কি উপায়গুলো মেনে চললে আমাদের হার্ট ভালো থাকবে-
হার্ট ভালো রাখার উপায়
খেলার ছলে ব্যায়াম করুন
আপনার হৃদপিণ্ডকে ভালো রাখতে সপ্তাহে কমপক্ষে পাঁচ দিন ৩০ মিনিট করে হাঁটুন বা ব্যায়াম করুন। আর ব্যায়ামের অভ্যাস যদি আপনার না থাকে তাহলে প্রথম অবস্থায় এই কাজটি করা আপনার জন্য কষ্টকর হবে। তবে আপনাকে অন্যান্য কাজের মধ্যে ব্যায়ামের রুটিন টা অবশ্যই করে নিতে হবে। যদি আপনি আপনার হার্ট কে বা হৃদপিন্ড কে ভালো রাখতে চান, তবে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট করে ব্যায়াম করুন বা ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলুন। আপনি এটাকে ভাগ করে ও ব্যায়াম করে নিতে পারেন। যেমন- সকালে দশ মিনিট দৌড়ালেন বা ব্যায়াম করলেন বা ঘাম ঝরালেন,ক্যান্টিনে হেঁটে হেঁটে খেতে গেলেন ও সন্ধ্যায় কিছুক্ষণ ব্যায়াম করলেন ইত্যাদি।
নিয়মতান্ত্রিক খাবার গ্রহণ
আপনি হয়তো প্রাণিজ উৎস থেকে প্রাপ্ত 'স্যাচুরেটেড ফ্যাট' বা ক্ষতিকর চর্বি খেতে পছন্দ করেন। লাল মাংস অথবা দুগ্ধজাত ফ্যাট যুক্ত খাবার আপনি পছন্দ করেন। আমি বলব, এসব খাবার মোটেই খাবেন না। এগুলো আপনার হার্টকে অসুস্থ বানিয়ে দিবে। তাই আপনার হার্ট ভালো রাখতে হলে এসব খাবার আপনাকে ছাড়তে হবে। তবে প্রথম অবস্থায় আপনাকে এই অভ্যাসটি বাদ দিতে অনেক কষ্ট হবে। তাই ধীরে ধীরে এ অভ্যাসটি পরিবর্তন করে ফেলুন। আপনি লাল মাংস না খেয়ে লো-ফ্যাট যুক্ত মাংস খেতে পারেন এবং দুগ্ধজাত খাবার বাদ দিয়ে জলপাই কিংবা ক্যানোলা অয়েল খেতে পারেন। খাবারে লবণের পরিমাণ কমিয়ে দিন বা কাঁচা লবণ খাবেন না। প্যাকেটজাত বা প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন। আর প্রতিদিনের খাবারে ১,৫০০ মি. গ্রাম এর বেশি লবণ আপনি গ্রহণ করবেন না। শাক-স ব্জি খান প্রতিদিন।পাশাপাশি ফল-মূল খান। এতে করে আপনার হার্ট বা হৃদপিণ্ড ভালো থাকবে। তাছাড়া আপনি খেতে পারেন গ্রেইন বা শস্যদানাযুক্ত খাবার। উদাহরণ স্বরূপ- বার্লি, বাদামি চাল,পপকর্ণ, ওটমিল গমের রুটি ইত্যাদি।
পরিমিত বিশ্রাম নিন
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিশ্রাম নিন। কোন ধরনের মানসিক চাপ নেবেন না বা দুচিন্তা করবেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে, মানসিক চাপ নিলে তা হৃদপিন্ডের উপর বড় ধরনের প্রভাব বিস্তার করে। যা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।তাই মানসিক দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকবেন। দীর্ঘক্ষণ বসে না থেকে মাঝেমধ্যে উঠে দাঁড়াবেন এবং বড় বড় করে শ্বাস নেবেন। মোবাইল ফোন বেশি চালাবেন না। আর সাংসারিক চিন্তা বা অফিসের কাজের চাপ গুলা মাঝে মধ্যে ভুলে যাবেন। এটা নিজের সুবিধার জন্য। আর বিশ্রাম নেওয়ার পর দেখবেন যে, আপনার অনেক ভালো লাগছে। তাই বিশ্রাম নিন। দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকুন এবং হার্ট বা হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখুন।
দুর্বল হার্ট সবল করার উপায়
হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার
বেশি ভাজা এবং তৈলযুক্ত খাবার আমাদের হার্টের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।কারণ,বেশি ভাজা ও তৈলযুক্ত খাবারে অতিরিক্ত ফ্যাট বা চর্বি থাকে।যা হার্টের জন্য ক্ষতিকর।তাই এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
হাড়ের মগজ,কলিজা
উচ্চ কোলেস্টরল সমৃদ্ধ খাবার,যেমন- হাড়ের মগজ,কলিজা ইত্যাদি। এসব খাবার হার্টের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।তাই এগলো পরিহার করুন।
চটজলদি খাবার বা ফাস্টফুড
উচ্চ ক্যালরি ও কোলেস্টরল সমৃদ্ধ খাবার হলো ফাস্টফুড খাবার। এগুলো হার্টের জন্য ক্ষতিকর।
হার্টের রোগীর জন্য দুধ
হার্টের রোগীদের জন্য লো-ফ্যাট মিল্ক কিংবা ফ্যাট ফ্রি মিল্ক ও চিজ অনেক উপকারি।তবে বাটার,ঘি ও ফুলক্রিম মিল্ক পরিহার করতে হবে।কারণ,এসব খাবার গুলো হার্টের সমস্যা বাড়িয়ে দেয় অনেক গুনে।