টক বরই খাওয়ার উপকারিতা

টক বরই খাওয়ার উপকারিতা,বরই এর পুষ্টিগুন,বরই পাতার উপকারিতা,মৃতদের গোসলে বরই পাতার ব্যবহার, নারীদের গোসলে বরই পাতার ব্যবহার,বরই খেলে কি গ্যাস হয়,গর্ভাবস্থায় বরই খাওয়ার উপকসরিতা

টক বরই খাওয়ার উপকারিতা,বরই এর পুষ্টিগুন,বরই পাতার উপকারিতা,মৃতদের গোসলে বরই পাতার ব্যবহার, নারীদের গোসলে বরই পাতার ব্যবহার,বরই খেলে কি গ্যাস হয়,গর্ভাবস্থায় বরই খাওয়ার উপকসরিতা

বরই ছোট বড় সকলেই পছন্দ করে। ফলের মধ্যে টক-মিষ্টি বরই বেশ পুষ্টিকর ও সুস্বাদু একটি ফল। আমাদের মধ্যে অনেকেই বরই ভর্তা,কাঁচা কিংবা আচার বানিয়ে খেয়ে থাকেন।  বরই তে রয়েছে ভিটামিন 'সি' যা  আমাদের শরীরের জন্য বেশ কার্যকর। এটি রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে দারুন সহায়তা করে থাকে।

টক বরই খাওয়ার উপকারিতা

১। টক বরই হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

২। খাবারে রুচি ফিরিয়ে আনতে টক বরই সাহায্য করে।

৩। টক বরই যকৃতের কাজ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়  কয়েকগুন।

৪। জ্বর, সর্দি-কাশি প্রতিরোধ করতে টক বরই বেশ উপকারী।

৫। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখে।

৬। রক্তশূন্যতার সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

৭। টক বরই উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী ফল।

৮। ঘা বা ক্ষত  জনিত সমস্যা যেমন ঠোঁটের কোণে ঘা, জিহ্বাতে ঘা, ঠোঁটের চামড়া উঠে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দূর করতে যথেষ্ট সহায়তা  করে।



বরই হচ্ছে চর্বিহীন ও আঁশ জাতীয় খাবার। তাই ডায়েটিশিয়ানরা ওজন কমানোর জন্য বরই খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। মানবদেহের পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বরই অসাধারণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বরই গ্যাস্ট্রিক ও আলসার নিরাময়ে দারুন কার্যকর।

বরইয়ে রয়েছে স্যাপোনিন নামক পদার্থ।যা আমাদের মস্তিস্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। বরই আলঝেইমার ও ডিমেনশিয়া রোগীদের ক্ষেত্রে ব্রেন ফাংশন ভালো করতে  গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বরই এর পুষ্টিগুন
টক বরই খাওয়ার উপকারিতা,বরই এর পুষ্টিগুন,বরই পাতার উপকারিতা,মৃতদের গোসলে বরই পাতার ব্যবহার, নারীদের গোসলে বরই পাতার ব্যবহার,বরই খেলে কি গ্যাস হয়,গর্ভাবস্থায় বরই খাওয়ার উপকসরিতা

বরইয়ে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান। ফলে চায়নায় বরইয়ের চা পান করা হয়। চিকিৎসকদের  মতে, শুকনা বা কাঁচা বরই যেকোন বরই প্রদাহ সারাতে সাহায্য করে। বরই হচ্ছে অ্যান্টিইনফ্লামেটরি ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস সমৃদ্ধ একটি ফল। এ উপাদানগুলো ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে। তবে ব্যথানাশক ওষুধের ক্ষেত্রে বরই  বিপরীতমুখী ভূমিকা পালন করে থাকতে পারে। তাই ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার সময় বরই না খাওয়াই ভালো।


বরই পাতার উপকারিতা
টক বরই খাওয়ার উপকারিতা,বরই এর পুষ্টিগুন,বরই পাতার উপকারিতা,মৃতদের গোসলে বরই পাতার ব্যবহার, নারীদের গোসলে বরই পাতার ব্যবহার,বরই খেলে কি গ্যাস হয়,গর্ভাবস্থায় বরই খাওয়ার উপকসরিতা


বরইগাছ হলো মহান আল্লাহর এক অশেষ সৃষ্টি। বরই যেমনি সুস্বাদু, তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে অনেক স্থানে এ গাছ সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে।  বরইপাতার গুনাগুন সম্পর্কে  নিচে আলোচনা করা হলো :

কোরআনে বরইগাছ প্রসঙ্গ

মহাগ্রন্থ আল- কোরআনের সুরা আন নাজমের ১৪ নম্বর আয়াতে (সিদরাতুল মুনতাহা) বরইগাছের কথা উল্লখে করা হয়েছে, যা সপ্তম আকাশে অবস্থিত।


হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, 'কুল বা বরইগাছটি ছিল বিশাল আকারের। পাতা ছিল হাতির কানের সমান এবং ফল ছিল বৃহৎ মাটির পাত্রের মতো। ওটাকে আল্লাহ তাআলার আদেশ দেখে রাখা হয়েছিল। ওর সৌন্দর্যের বর্ণনা কেউ দিতে পারে না'।


ওটিই সব সৃষ্টির জ্ঞানের সীমার শেষ প্রান্ত। তাকে অতিক্রম করে যাওয়ার ক্ষমতা কারো নেই। ওখানে আল্লাহর রাসুল (সা.) দ্বিতীয়বারের মতো ফেরেশতা জিবরাইল (আ.)-কে আসল আকৃতিতে দেখেছিলেন। (বুখারি শরীফ, হাদিস নং : ৩২৩৪, মুসনাদে আহমদ : ৩/১৪৮)


মৃত ব্যক্তির গোসলে বরইপাতা

র ব্যবহার


বরইপাতার উপকারিতা ও গুণাগুণ বিজ্ঞানের গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে।

বরইপাতায় রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক উপাদান। যা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় বেশ কার্যকর। পোকামাকড়ের আক্রমণ ও‌ পচন রোধ করতে এ পাতা গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখে। সেজন্যই  মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) মাইয়্যেতের গোসলে বরইপাতা ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন। উম্মে আতিয়া আনসারী (রা.) থেকে বর্ণিত, ‌রাসুল (সা.)-এর কন্যা (জয়নাব রা.)-এর ইন্তেকাল হলে তিনি আমাদের কাছে এসে বলেন, তোমরা তাকে তিন, পাঁচ এবং প্রয়োজন মনে করলে তার চেয়ে বেশিবার বরইপাতাসহ পানি দিয়ে গোসল দাও। শেষবার কিছু কর্পূর ব্যবহার করবে।


তোমরা শেষ করে আমাকে জানাও। বর্ণনাকারীর মতে, আমরা শেষ করার পর তাঁকে জানালাম। তখন তিনি তাঁর চাদরখানি আমাদের দিয়ে বলেন, এটি তার গায়ের সঙ্গে জড়িয়ে দাও। (বুখারি শরীফ, হাদিস নং : ১১৮০)


নারীদের গোসলে বরইপাতার ব্যবহার


মহান আল্লাহ প্রদত্ত নিয়মে নারীদের মাসিক হয়। মাসিক থেকে গোসলকারী নারীর জন্য পানিতে বরইপাতা মিশিয়ে তা দিয়ে গোসল করা এবং বিশেষ স্থানে সুগন্ধযুক্ত কাপড় বা তুলা ব্যবহার করা মুস্তাহাব। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার আসমা (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে হায়েজের গোসল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি বলেন, তোমাদের কেউ পানি ও বরইপাতা নিয়ে সুন্দরভাবে পবিত্র হবে। তারপর মাথায় পানি ঢেলে দিয়ে ভালোভাবে রগড়ে ফেলবে, যাতে সমস্ত চুলের গোড়া পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তারপর তার ওপর দিয়ে পানি ঢেলে দেবে। তারপর সুগন্ধযুক্ত কাপড় নিয়ে তা দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করবে।


আসমা (রা.) বললেন, তা দিয়ে কিভাবে পবিত্রতা অর্জন করবে? তিনি বলেন, সুবহানাল্লাহ। তা দিয়ে পবিত্রতা অর্জন করবে। অতঃপর আয়েশা (রা.) তাঁকে যেন চুপি চুপি বলে দিলেন রক্ত বের হওয়ার জায়গায় তা ঝুলিয়ে দেবে। অতঃপর তিনি নাপাক থেকে পবিত্র হওয়ার গোসল সম্পর্কেও জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি বলেন, পানি দ্বারা সুন্দরভাবে পবিত্র হবে। তারপর মাথায় পানি ঢেলে দিয়ে ভালো করে রগড়ে ফেলবে, যাতে চুলের গোড়ায় পানি পৌঁছে যায়। তারপর সর্বাঙ্গে পানি বইয়ে দেবে। আয়েশা (রা.) বলেন, আনসারদের নারীরা কত ভালো! লজ্জা তাদের দ্বিনের জ্ঞান থেকে ফিরিয়ে রাখে না। (মুসলিম শরীফ, হাদিস নং : ৬৪৩)







Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url