বেল ফলের উপকারিতা

 অসহ্য গরমে তৃপ্তি নিবারনের জন্য আমরা বিভিন্ন ফল ও ফলের রস পান করে থাকি। বেল হচ্ছে তার মধ্যে একটি অন্যতম ফল। এটি দিয়ে শরবত করে  খেতে বেশ ভালো লাগে। বেল অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে ভরপুর। নিয়মিত বেল খান সুস্থ্য থাকুন। নানা ধরনের অসুখ  থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে বেল। বেল খাওয়ার উপকারিতাগুলো জানতে পারলে  আপনি  বেল খাবেন প্রতিদিন। আসুন  বেল খাওয়ার উপকারিতা গুলো জেনে নেই- Nesarul Omr     Small Seo Tools

বেল ফলের উপকারিতা,পাকা বেল খাওয়ার নিয়ম,পাকা বেল খাওয়ার উপকারিতা,খালি পেটে বেল খাওয়ার উপকারিতা,আমাশয়ে বেলের উপকারিতা,বেল শুট খাওয়ার উপকারিতা,বেল পাতা খাওয়ার নিয়ম

বন্ধুরা আজ আমি তোমাদের সাথে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করব, তা হচ্ছে;  বেল ফলের উপকারিতা,পাকা বেল খাওয়ার নিয়ম,পাকা বেল খাওয়ার উপকারিতা,খালি পেটে বেল খাওয়ার উপকারিতা,আমাশয়ে বেলের উপকারিতা,বেল শুট খাওয়ার উপকারিতা,বেল পাতা খাওয়ার নিয়ম

বেল ফলের উপকারিতা

হজম শক্তি বাড়ায়

বেল হজমশক্তি বাড়াতে সহয়তা করে।  এ ধরনের সমস্যায় শরবত ছাড়া কাঁচা বেলও খেতে পারেন। তাছাড়া পাকা বেল খেলে দূর হয় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। আপনার যদি  এমন সমস্যায় ভোগেন তাহলে বেল খেতে পারেন। ফলে পেটের যাবতীয় সমস্যা দূরে করবে এবং পেটকে সুস্থ্য রাখবে।

আলসার নিরাময় ও ডায়রিয়া সারায়

কাঁচা বেল যেমনি হজমে সাহায্য করে, তেমনি পাকা বেল ডায়রিয়া প্রতিরোধে কাজ করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঁচা বেল পেটের পক্ষে বেশি ভালো।এমনকি পাকা বেলের শাঁসে ফাইবার থাকে, যা  আলসার রোধে বেশ কার্যকরী।নিয়মিত  বেলের শরবত খেলে  অনেক অসুখ থেকে দূরে থাকা যায়।

ডায়াবেটিস এবং র্থ্রাইটিস প্রতিরোধ

নিয়মিত বেল খেলে ব্যথার সমস্যা থেকে দূরে থাকবেন। কারণ বেলে থাকা নানা গুণের কারণে তা আথ্রাইটিসের সমস্যা দূর করে। তাছাড়া পাকা বেলে থাকা 'মেথানল' ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফলে ডায়াবেটিস ও  রক্তচাপ নিয়েন্ত্রণেও বেল যথেষ্ট  সাহায্য করে থাকে।

ঘামের দুর্গন্ধ নির্মূল 

 অসহ্য গরমে শরীরে ঘাম বেশি হয় এবং ঘামে শরীরে  বেশ দুর্গন্ধ হয়। এক্ষেত্রে বেল পাতার রস পানিতে মিশিয়ে নিন এবং সেই পানি দিয়ে শরীর মুছে নিন। কিছু সময় পর গোসল করে নিন। এতে আপনার শরীরের দুগন্ধ থাকবে না।

শুক্রাণু পাতলা হলে 

অনেক  পুরুষের শুক্রাণু বেশি পাতলা হয়। এমনকি প্রসাবের রাস্তা দিয়ে  পিচ্ছিল পদার্থ ঝরে।এ সমস্যা সমাধানে  বেলগাছের ছালের টাটকা রস ২০ মি.মি, গরুর দুধ ১৫০ মি. মি, জিরার গুঁড়া ১ গ্রাম নিন। এ উপাদানগুলো একত্রে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি প্রতিদিন ১ বার করে একমাস খেলে সমস্যা অনেকটাই  কমে যাবে। এমনকি  যাদের হৃদযন্ত্র, মস্তিষ্ক ও পাকস্থলি দুর্বল রয়েছে,তারা ৩০-৩৫ গ্রাম পাকা বেলের শাঁস শরবত করে নিন। তৈরি করা শরবত সকাল ও বিকেলে ২ বার খেলে বেশ উপকার পাবেন।

যক্ষ্মা হতে মুক্তি 

পাকা বেল অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল উপাদান সমৃদ্ধ , যা যক্ষ্মা প্রতিরোধে সাহায্য করে। আপনি যদি ভালো ফল পেতে চান,তবে  ব্রাউন সুগারের সাথে অথবা মধু মিশিয়ে  বেলের শরবত করে রাতে খেতে পারেন।আর এটি অবশ্যই ঘুমানোর আগে পান করবেন । এটকটানা  ৪০ দিন খেয়ে যান। ইনশাআল্লাহ,উপকার পাবেন।

ক্যান্সার প্রতিরোধক 

বেল হচ্ছে অ্যান্টি প্রলেফিরেটিভ ও অ্যান্টি মুটাজেন উপাদান সমৃদ্ধ। এ উপাদান গুলো স টিউমার প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাছাড়া বেলে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান , যা ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমিয়ে দেয়।

লিভারের যত্ন 

বেলে আছে উন্নত মানের  বিটা ক্যারোটিন উপাদান। এই বিটা ক্যারোটিন  লিভার ভালো রাখতে সহায়তা করে থাকে। তাছাড়া বেল থিয়ামিন ও রাইবোফ্লেভিন উপাদান সমৃদ্ধ। আর উপাদানগুলো লিভারের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।এমনকি রক্ত ভালো রাখতে ও ম্যালেরিয়া জ্বর প্রতিরোধে বেশ কার্যকর। তাছাড়া বেল  ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

আমাশয় কমায় 

 পেটের অন্ত্রের কৃমি ও অন্যান্য জীবাণু ধ্বংস করে ডায়রিয়া এবং আমাশয় রোধে বেশ কার্যকর। আমাশয় নিরাময় করতে, কচি বেল টুকরো করে কেটে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন সারা রাত। ভিজানো পানি পরের দিন ছেঁকে খেয়ে নিন। এটি বমাশয় নিরাময়ে নিয়ামক হিসেবে কাজ করে।

ত্বক ভালো রাখে 

 শরীরের ত্বক বা চামড়াকে সুর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করতে বেলের শাঁস খুব গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখে।

কিডনি ভালো রাখে বেল 

 বেলে থাকা উপাদান আপনার কিডনির কার্যকারিতা ঠিক রাখতে এবং কিডনি ভালো রাখতে সাহায্য করে।।

বেলের শরবত যেভাবে বানাবেন

দুধ                              : ১ কাপ (শীতল) 

চিনি/গুড়                   : স্বাদ অনুযায়ী

কালো / গোলাপি লবণ  : ১.৫ (দেড়) চা চামচ 

কাজু বাদাম                    : ৫-৬টা 

কিসমিস                          : ১ চা চামচ

প্রণালি 

রথমে পরিষ্কার পানিতে বেলটি ধুয়ে নিতে হবে। বেলের বাইরের শক্ত খোসাটি ছাড়িয়ে ফেলতে হবে।  বড় বাটিতে চামচ চেঁছে বেলের ভিতরের মন্ডটা তুলে নিন। বীজগুলো যতটা সম্ভব হাত দিয়ে সরিয়ে ফেলতে হবে। বীজ পানীয়টিকে  তেতো স্বাদ করে তোলবে। তারপর  মণ্ডের সাথে কিছুটা পানি (আধ কাপের কম) যুক্ত  করুন এবং ৫ মিনিট রেখে দিবেন। ফলে মণ্ডটা নরম হয়ে যাবে।   বেলটা পাকা ও যথেষ্ট নরম হলে তা আর করতে হবে না। পরিস্কার হাত দিয়ে মণ্ডটিকে ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর মণ্ডে দুধ, গুড়/ চিনি ও গোলাপি/ কালো লবণ পরিমাণমত দিয়ে দিন। শেষে ভালভাবে মিশিয়ে পরিবেশন করুন।

পোস্ট ট্যাগ:

বেল ফলের উপকারিতা,পাকা বেল খাওয়ার নিয়ম,পাকা বেল খাওয়ার উপকারিতা,খালি পেটে বেল খাওয়ার উপকারিতা,আমাশয়ে বেলের উপকারিতা,বেল শুট খাওয়ার উপকারিতা,বেল পাতা খাওয়ার নিয়ম

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url