জলপাই আচার এরউপকারিতা



বন্ধুরা আজ আমি তোমাদের সাথে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করব; জলপাইআচারএরউপকারিতা,জলপাই আচার বানানোর নিয়ম, জলপাই আচারের রেসিপি,টক ঝাল মিষ্টিজলপাই আচার,জলপাই আচার দাম,
জলপাইআচারএরউপকারিতা,জলপাই আচার বানানোর নিয়ম, জলপাই আচারের রেসিপি,টক ঝাল মিষ্টিজলপাই আচার,জলপাই আচার দাম

জলপাই আচার এরউপকারিতা

ঝাল খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আমরা কম বেশি সবাই ঝাল খেতে পছন্দ করি। তো জলপাইয়ের টক,ঝাল,মিষ্টি আচার যদি তৈরি করে খাওয়া যায়, তবে বড়ই মজা হতো। আর শীতের সকালে যদি ধোয়া ওঠা মজাদার খিচুড়ির মধ্যে টক, ঝাল আচার নেওয়া যায় তাতে খাবারের স্বাদটা অনেক গুনে বেড়ে যায়। আবার এতে স্বাস্থ্যের উপযোগীতা রয়েছে অনেক বেশি। তো চলুন জলপাইয়ের আচারে কি কি উপকারিতা রয়েছে তা জেনে নেই।


জলপাই আচারে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ডায়াটরি ফাইবার বা আঁশ যা আমাদের পেটের হজম শক্তিকে অনেক গুণে বাড়িয়ে দেয়।

টক,ঝাল আচার আমাদের শরীরের প্রায় সকল ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।


জলপাই আচার আমাদের শরীরের ক্ষয় পড়ুন ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। কারণ এতে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ।


জলপাই আচারে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এন্টিঅক্সিডেন্ট ও ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা আমাদের ত্বক ও চুলকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। এটি অতিবেগুনি রশ্মি থেকে আমাদের ত্বককে রক্ষা করে এবং আমরা যদি আমাদের চুলের গোড়ায় জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করি, তাহলে অকাল চুল পড়া থেকে আমাদের চুল রক্ষা হবে।

জলপাইয়ের আচারে থাকা উপাদান রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। তাই এটি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দেয়। আমরা চেষ্টা করব প্রতিদিনের খাবার তালিকায় স্বাদের জলপাই আচারটা রাখার জন্য।

জলপাই আচারে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ আয়রন যা শরীরের লোহিত রক্ত কণিকা পরিমাণ বৃদ্ধি করে দেয়। আর লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ কমে গেলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে এক্ষেত্রে আচারের উপকারিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা প্রতিদিন খাবার তালিকায় আচারটা রাখার চেষ্টা করব।

শরীরের বাত ব্যথা গ্যাস্ট্রিক দূরীকরণ আলসার বা ক্ষত নিরাময়, হাড়ের ক্ষয়, চোখের জ্যোতি বাড়াতে জলপাই আচারের কোন জুড়ি নেই। তাই আমরা চেষ্টা করব প্রতিদিনের খাবার তালিকায় জলপাই আচারটা রাখার জন্য।


বন্ধুরা আজ আকিভাবে আমরা মজাদার টক-ঝাল জলপাই আচার তৈরি করতে পারি। তোমরা জানো যে জলপাইর আচারগুলা আমরা গরম ভাত, মজাদার খিচুড়ি বা অন্য কোন খাবারের মধ্যে দিও আমরা মজা করে খেতে পারি। তো এই আচার বানানোর জন্য কি কি পদক্ষেপ নিতে পারি তা জেনে নেই

জলপাই আচার বানানোর নিয়ম

জলপাইআচারএরউপকারিতা,জলপাই আচার বানানোর নিয়ম, জলপাই আচারের রেসিপি,টক ঝাল মিষ্টিজলপাই আচার,জলপাই আচার দাম

যা যা উপকরণ লাগবে:

  • ২ কেজি জলপাই
  • দেড় কাপ পরিমাণ চিনি বা গুড়
  • শুকনা আস্ত মরিচ ৪-৫ টি
  • দেড় চা চামচ আস্ত ধনিয়া
  • ২ চা চামচ আস্ত জিরা
  • দেড় চা চামচ আস্ত মৌরি
  • দেড় চা চামচ আস্ত কালোজিরা
  • আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়া
  • ২ চা চামচ রসুন কুঁচি
  • ২ টি তেজপাতা
  • ২-৩ টুকরা দারুচিনি
  • স্বাদ মত লবন
  • পানি ৪ কাপ পরিমাণ
  • আধা কাপ ভিনেগার বা সিরকা
  • আধা কাপ সরিষার তেল

প্রণালী

( ১ ) জলপাইগুলো খুব ভালোভাবে ধুয়ে পরিস্কার করে নিন। একটি পরিস্কার পাত্রে ৪ কাপ পানি ও আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়া দিয়ে ৮-১০ মিনিট ভালভাবে সিদ্ধ করে নিন। তারপর সিদ্ধ হয়ে নরম হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে হাত দিয়ে ভেঙ্গে চটকে ভর্তা বানিয়ে নিন।

( ২ ) তারপর সব আস্ত মসলা আলাদাভাবে সামান্য আঁচে তাওয়ায় হালকা টেলে নিন। মনে রাখবেন,একসাথে সব দেয়া যাবে না, এতে করে কিছু মসলা পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। । মসলাগুলো কিছুতেই বেশি ভাজা না যাবেনা। , এতে স্বাদ খারাপ হয়ে যেতে পারে। টেলে নেয়া মসলাগুলো গ্রাইন্ডারে বা পাটা দিয়ে মিহি করে গুঁড়া করে নিতে হবে ।

( ৩ ) শেষে একটি প্যানে তেল গরম করে তেজপাতা ও দারুচিনি দিয়ে একটু নেড়ে রসুন কুঁচি দিয়ে দিন। মিডিয়াম আঁচে রান্না করে নিন। রসুন কুঁচি হালকা বাদামি হলে চটকে রাখা জলপাইগুলো দিয়ে দিন ।তারপর লবন, চিনি, ভিনেগার, টালা গুঁড়া করে রাখা সকল মসলা দিয়ে দিন। এরপর ভালোভাবে আচারের পানি শুকিয়ে ভাল করে ভেজে নামিয়ে ফেলুন । নামানোর আগে অবশ্যই লবন আর চিনি যাচাই করে লাগলেনে হলে দিয়ে দিবেন ।

আচার সংরক্ষণের উপায়


ভিনেগার দিলে আচার অনেক দিন ভালো রাখা যায়, এই আচার পরিস্কার কাঁচের বয়মে ভরে বাহিরে বা ফ্রিজের নরমাল রেখে অনেকদিন সংরক্ষন করতে পারবেন ।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url