বন্ধুরা আজ আমি তোমাদের সাথে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করব তা হচ্ছে,সুগার কন্ট্রোল করার উপায়,সুগার হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে না?,দ্রুত সুগার কন্ট্রোল করার উপায়?,কি কি খাবার খেলে সুগার কমে যায়?,সুগার হলে কি কি সবজি খাওয়া যাবে না?,ফাস্টিং ব্লাড সুগার কমানোর উপায়,সুগার কমানোর ব্যায়াম
সুগার কন্ট্রোল করার উপায়
সুগার কন্ট্রোল করার উপায়,ডায়াবেটিস একটি ঘাতক ব্যাধি।বিশ্বের অসংখ্য লোক এ মরণ ব্যাধিতে আক্রান্ত।এমনকি আপনার আশেপাশে অনেক লোক এ রোগে আক্রান্ত।ফলে তারা প্রতিনিয়ত মুঠো মুঠো ঔষধ খাচ্ছে জীবন বাচানোর জন্য।৪০ বছর বয়স অতিক্রান্ত হলেই দেখো দিত এই ঘাতক রোগ।কিন্তু এখন সেটি হচ্ছেনা।যেকোন বয়সের লোককে কাবু করছে এ ব্যাধি।এ রোগে আক্রান্ত হলে তা শরীরে কিডনি,লিভার,হার্ট হতে শুরু করে পুরো শরীরে রোগের বিস্তার ঘটিয়ে দেয়,যা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য বিষয়।তো কেমন হয় যদি প্রাকৃতিক উপায়ে তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।নিশ্চয় অনেক ভাল হয়,তাইনা?চলুন নেয়া যাক সেই উপায়গুলোঃ
ডায়াবেটিসের লক্ষণঃ
- ঘন ঘন পস্রাব
- বেশি বেশি পানির পিপাসা
- দ্রুত ওজন হ্রাস পাওয়া
- দৃষ্টি শক্তি কমে যাওয়া
- অবসাদ বা ক্লান্তি অনুভব করা
- ক্ষুধা বেশি লাগা
- শরীরের চামড়া শুষ্ক হয়ে যাওয়া
- ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়া
- হাত-পা অসার হয়ে আসা
- ঘন ঘন ইনফেকশন হওয়া। যেমন-মুত্রথলীর ইনফেকশন,ত্বকের ইনফেকশন,ছত্রাক ইনফেকশন ইত্যাদি।
- নিঃশ্বাস নিলে মিষ্টি ফলের গন্ধ পাওয়া
- পেটে ব্যথা
- বমি ভাব বা বমি হওয়া
সুগার কন্ট্রোল করার ঘরোয়া উপায়
১.নিয়মিত ব্যায়াম বা শরীর চর্চা
সুগার কন্ট্রোল করার ঘরোয়া উপায়,নিয়মিত ব্যায়াম বা শরীর চর্চা করলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ইনসুলিন সিনসিটিভিটি বেড়ে যায়।মানে কোষে ইনসুলিন হরমোন ভালভাবে কাজ করে।কমপক্ষে সপ্তাহে ৫ দিন ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।তবে সপ্তাহ জুড়ে ব্যায়াম করা বেশি ভাল।আর ভাল ফলাফল পেতে হলে আপনাকে প্রতিদিন হাঁটতে হবে,দৌঁড়াতে হবে,সাইকেল চালাতে হবে।এমনকি প্রয়োজনে জীমে গিয়েও ব্যায়াম করতে হবে।
২.কার্বোহাইড্রেট খাবার কম খাওয়া
সুগার কন্ট্রোল করার ঘরোয়া উপায় কোনভাবেই অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট খাবার খাওয়া যাবেনা।একথা সত্য যে,কার্বোহাইড্রেট আমাদের শরীরে শক্তির যোগান দেয়।যেহেতু কার্ব শরীরে সুগার বা শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।তাই ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে তা হিসাব করে গ্রহণ করতে হবে।যেমন- ভাত ও রুুটি।
৩.সুগার কন্ট্রোলে ফাইবার খান
সুগার কন্ট্রোল করার ঘরোয়া উপায়, ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরের শর্করা নিয়ন্ত্রণে ফাইবারের জুড়ি নেই।তাই ডায়াবেটিস দূর করতে প্রতিদিন ফাইবার বা আঁশযুক্ত খাবার খান।ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারগুলো নিন্মরুপঃ
- ডাল
- বার্লিও ওটস
- ফলমূল
- যেকোন ধরনের শাকসব্জি
- শিম,মটরশুটি ও বিন জাতীয় খাবার
৪.পর্যাপ্ত পানি পান করাঃ
সুগার কন্ট্রোল করার ঘরোয়া উপায়, আমরা জানি ,পানির অপর নাম হলো জীবন।আর তা ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রেও চরম সত্য।পানি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করে।তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন।কিডনি পানির মাধ্যমে আপনার শরীরে থেকে বর্জগুলো পস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেয়।তাছাড়া অপ্রয়োজনীয় সুগার বা শর্করা ও দেহ থেকে বের করে দেয়।ফলে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।বুঝলেন তো কেন পানি পান করবেন?
৫.দুশ্চিন্তা মুক্ত জীবন-যাপনঃ
সুগার কন্ট্রোল করার ঘরোয়া উপায়,দুশ্চিন্তা এমন একটি খারাপ জিনিস,যা শরীরে কর্টিসল ও গ্লুকাগণ নামক হরমোন বৃদ্ধি করে।আর এ হরমোনগুলো দেহে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।তাই আমি বলবো যতদূর সম্ভব দুশ্চিন্তাকে গুডবাই জানান।তাছাড়া সুস্থ্য থাকতে মাইন্ডফুলনেজ যোগা ও করতে পারেন।তবেই আপনার শরীরের সুগার বা শর্করার মাত্রা থাকবে অনেক দূরে।
সুগার হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে না?
সুগার হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে না?, যেসব ফল এ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স এর পরিমাণ বেশি সেসব ফল ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের এড়িয়ে চলতে হবে।যেসব ফল খাওয়া যাবেনা তা হচ্ছেঃ
- কাঁঠাল
- সবেদা
- আঙ্গুর
- আম ও
- কলা
দ্রুত সুগার কন্ট্রোল করার উপায়?
১.ব্লাড সুগার চেক করুনঃ
দ্রুত সুগার কন্ট্রোল করার উপায়?, প্রতিদিন কিংবা ২ বা ১ দিন পর পর ডায়াবেটিস চেক করুন।ফলে ডায়াবেটিসের মাত্রা জানতে পারবেন এবং ডাক্তারের পরামর্শ বা কেমন জীবন-যাপন করতে হবে তা জানতে পারলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করা যায়।
২.পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণঃ
দ্রুত সুগার কন্ট্রোল করার উপায়?,যেকোন খাবার একবারে না খেয়ে কয়েকবারে খেলে শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক থাকে।তেল কম সমৃদ্ধ খাবার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে যথেষ্ট সাহায্য করে।ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং শরীরে কোলেষ্টরলের মাত্রা হ্রাস পায়।
৩.নিয়মিত ব্যায়াম বা শরীর চর্চাঃ
দ্রুত সুগার কন্ট্রোল করার উপায়?,নিয়মিত ব্যায়াম করলে তা মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করতে সাহায্য করে।মানসিক ব্যায়াম,ধ্যান এবং নিয়মিত বিশ্রাম করলে তা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
৪.পর্যাপ্ত ঘুমঃ
দ্রুত সুগার কন্ট্রোল করার উপায়?,বিশেষজ্ঞদের মতে,প্রতিদিন একজন ব্যক্তির ৭-৯ ঘন্টা ঘুমানো উচিত।এতে করে সে সুস্থ্য থাকলে পারবে।তাছাড়া এটি ডায়াবেটিস কমাতে ও ভূমিকা রাখে।
তাছাড়া দুশ্চিন্তামুক্ত থাকা,ওজন নিয়ন্ত্রন করা এবং নিয়মিত ঔষধ গ্রহণ করলে ডায়াবেটিস দ্রুত নিয়ন্ত্রিত হয়।
সুগার হলে কি কি সবজি খাওয়া যাবে না?
সুগার হলে কি কি সবজি খাওয়া যাবে না?,আলু বিা শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় এমন সব্জি খাওয়া যাবেনা।তবে আপনি টমাটো,বেগুন শসা,মাশরুম এবং সবুজ শাকসব্জি নিয়মিত খেতে পারেন। এতে আপনার দেহের শর্করার পরিমাণ কমবে।