দ্রুত শ্বাসকষ্ট কমানোর উপায়
দ্রুত শ্বাসকষ্ট কমানোর উপায়
শ্বাসকষ্ট অনেক কষ্টদায়ক একটি রোগ।যা মানুষের জীবনকে বিষন্ন করে তোলে।তো চলুন জেনে নেওয়া যাক,কি কি উপায়ে শ্বাসকষ্ট কমানো যায়ঃ
পেয়াজের ব্যবহারঃ
লেবুর ব্যবহারঃ
ল্যাভেন্ডার তেলের ব্যবহারঃ
মধুর ব্যবহারঃ
আদার ব্যবহারঃ
রসুনের ব্যবহারঃ
কফির ব্যবহারঃ
শ্বাসকষ্ট হলে করণীয় ব্যায়াম
শ্বাস গুনার ব্যায়াম:
শ্বাস গুনে ব্যায়াম করতে হলে কিছু মেনে আপনাকে ব্যায়াম করতে হবে।সোজা হয়ে বসুন এবং ঘাড় ও পিঠ টান রাখুন।শ্বাস নিয়ে ফুসফুস ফুলিয়ে নিন।তারপর ১-৭ পর্যন্ত গুনে গুনে প্রশ্বাস ছাড়ুন।এই ব্যায়ামটি করলে আপনার ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বেড়ে যাবে এবং শ্বাসকষ্ট কমে যাবে।এটি প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ মিনিট করে চালিয়ে যেন।
মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়া ব্যায়াম:
অনুলোম বিলোম ব্যায়াম:
এই ব্যায়ামটি অত্যান্ত কার্যকরী ব্যায়াম,যা আপনার ফুসফুসকে আরো শক্তিশালী করবে এবং আপনার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিবে।ব্যায়ামটি করার জন্য মেরুদন্ডটি সোজা রেখে বসতে হবে।তারপর নাকের ডান নাসিকা ডান হাত দিয়ে চেপে ধরুন এবং বাম নাসিকা দিয়ে জোরে জোরে শ্বাস ছাড়ুন।এ ব্যায়ামটি ৫/৬ বার করুন। তারপর বাম হাত দিয়ে বাম নাসিকা চেপে ধরুন এবং ডান নাসিকা দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন।এভাবে আরও ৫/৬ বার করুন।এতে করে আপনার ফুসফুস হবে অনেক শক্তিশালী ও শ্বাসকষ্ট কমে যাবে।
হাই তোলা ব্যায়াম:
এটি একটি দারুন ব্যায়াম,যা ফুসফুসে অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং ফুসফুসকে শক্তিশালী করে।এই ব্যায়ামটি করার জন্য আপনার মেরুদন্ড ও পিঠ সোজা করে বসুন।এখন মুখ দিয়ে হাই তুলছেন এমন ভাব নিন।ধীরে ধীরে হাই তোলা মুখ মুসকি হাসি দিয়ে বন্ধ করুন।এভাবে ব্যায়ামগুলো করলে আপনার শ্বাসকষ্ট অনেক কমে যাবে।
এই ব্যায়ামটি শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়াতে এবং ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়াতে খুবই গুরুত্বপুর্ণ।তাছাড়া এটি আপনার মানসিক বিকাশেও সহায়তা করে।এটি করার জন্য ফুসফুস থেকে মুখ দিয়ে হু করে বাতাস বের করে দিন।কমপক্ষে এ ব্যায়ামটি ৫/৬ বার করুন।শ্বাসকষ্ট কম হবে ও ফুসফুস শক্তিশালী হবে।
শ্বাসকষ্ট হলে বোঝার উপায়
বার বার শ্বাস নেওয়া, শ্বাস নেওয়ার সময় বুকের পাঁজরের হাড় ওঠানামা, দ্রুত বা ঘন শ্বাসের গতি, কিংবা দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার অনুভূতি—এমন উপসর্গগুলো দেখা দিলে আমরা একে বলি শ্বাসকষ্ট। আসলে শ্বাসকষ্ট নিজে কোনো রোগ নয়; এটি বিভিন্ন রোগের উপসর্গ মাত্র।
শ্বাসকষ্ট
হলে প্রথমে আমরা হৃদ্রোগ বা ফুসফুসের রোগের
কথা চিন্তা করি। এসব রোগ নিয়ে আমরা হতাশায় থাকি। লক্ষ্য করলে দেখা যায়, জোর করে কিছুক্ষণ শ্বাস বন্ধ করলে বাতাসের অভাবে রক্তে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়, যা একটি বিরক্তকর
পরিবার বার শ্বাস নেওয়া, শ্বাস নেওয়ার সময় বুকের পাঁজরের
হাড় ওঠানামা, দ্রুত বা ঘন শ্বাসের
গতি, কিংবা দম বন্ধ হয়ে
যাওয়ার অনুভূতি—এমন উপসর্গগুলো দেখা
দিলে আমরা একে বলি শ্বাসকষ্ট। আসলে শ্বাসকষ্ট নিজে কোনো রোগ নয়; এটি বিভিন্ন রোগের উপসর্গ মাত্র।
শ্বাসকষ্ট
হলে প্রথমে আমরা হৃদ্রোগ বা ফুসফুসের রোগের
কথা চিন্তা করি। এসব রোগ নিয়ে আমরা হতাশায় থাকি। লক্ষ্য করলে দেখা যায়, জোর করে কিছুক্ষণ শ্বাস বন্ধ করলে বাতাসের অভাবে রক্তে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়, যা একটি বিরক্তকর
পরিস্থিতি তৈরি করে।
হৃদ্পিণ্ডের রোগে যখন হৃদ্পেশির সংকোচন ক্ষমতা কমে যায়, তখন ফুসফুসে রক্ত জমে ফুসফুসকে কষ্ট দেয়, কখনো পানি জমে যায়। এর ফলে শ্বাসকষ্ট
হয়।
হাঁপানির
ক্ষেত্রে ফুসফুসের বাতাস চলাচলের নল সংকুচিত
হয়ে যায়, ফলে রোগী জোরে জোরে শ্বাস নেয়। ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস বা নিউমোনিয়াতে শ্বাসকষ্ট
হতে পারে। রক্তে PH কমে গেলে বা অ্যাসিড জমে
গেলে ও শ্বাসকষ্ট হতে
পারে।
আবার
কখনো কখনো কোনো রোগের সঙ্গে শ্বাসকষ্টের অনুভূতিকে মেলানো যায় না। রোগী বার বার শ্বাস নিচ্ছে বা ফেলছে,
অক্সিজেনের জন্য জান প্রাণ দিয়ে চেষ্টা করছে, কিন্তু যুক্তিসংগত কোনো কারণ পাওয়া যাচ্ছে না। চিকিৎসকেরা একে হাইপারভেন্টিলেশন সিনড্রোম বলেন।
এখানে
শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের দহন বা মেটাবলিজম বেড়ে
গিয়ে নিশ্বাসের হার বেড়ে যায়। হাইপারভেন্টিলেশন সিনড্রোমের কারণ স্পষ্ট নয়, তবে এটি উৎকণ্ঠা এবং প্যানিক ডিজঅর্ডারের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে। এটা মূলত একটি মানসিক সমস্যা।
এ
ক্ষেত্রে শরীরের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি শ্বাস নেওয়ার ফলে রক্তের কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ কমে যায় এবং রক্তে ক্ষারের মাত্রা বেড়ে যায়।
শ্বাসকষ্ট হলে বোঝার উপায়
উৎকণ্ঠা
বা ভয় পেলে ২৫
থেকে ৮৩ শতাংশ ক্ষেত্রে
শ্বাসকষ্ট অনুভূত হয়, যার শারীরিক কোনো কারণ পাওয়া যায় না। এছাড়া ১১ শতাংশ ক্ষেত্রে
শারীরিক কোনো কারণ ছাড়াই শ্বাসের কষ্ট হয়। নারীরা এ সমস্যায় পুরুষদের
চেয়ে বেশি আক্রান্ত হন।
যদি
শ্বাসকষ্টের পিছনে গুরুতর কোনো শারীরিক কারণ থাকে, তা সঠিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া বোঝা সম্ভব নয়। তাই শ্বাসকষ্ট হলে যত দ্রুত সম্ভব
হাসপাতালে যেতে হবে এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে।
যদি
পরীক্ষায় কোনো গুরুতর শারীরিক কারণ না পাওয়া যায়
এবং সমস্যা মানসিক মনে হয়, তবে মনোবিদের সাহায্য নিতে হতে পারে।স্থিতি তৈরি করে।
হৃদ্পিণ্ডের রোগে যখন হৃদ্পেশির সংকোচন ক্ষমতা কমে যায়, তখন ফুসফুসে রক্ত জমে ফুসফুসকে কষ্ট দেয়, কখনো পানি জমে যায়। এর ফলে শ্বাসকষ্ট
হয়।
হাঁপানির
ক্ষেত্রে ফুসফুসের বাতাস চলাচলের নল সংকুচিত
হয়ে যায়, ফলে রোগী জোরে জোরে শ্বাস নেয়। ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস বা নিউমোনিয়াতে শ্বাসকষ্ট
হতে পারে। রক্তে PH কমে গেলে বা অ্যাসিড জমে
গেলে ও শ্বাসকষ্ট হতে
পারে।
আবার
কখনো কখনো কোনো রোগের সঙ্গে শ্বাসকষ্টের অনুভূতিকে মেলানো যায় না। রোগী বার বার শ্বাস নিচ্ছে বা ফেলছে,
অক্সিজেনের জন্য জান প্রাণ দিয়ে চেষ্টা করছে, কিন্তু যুক্তিসংগত কোনো কারণ পাওয়া যাচ্ছে না। চিকিৎসকেরা একে হাইপারভেন্টিলেশন সিনড্রোম বলেন।
এখানে
শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের দহন বা মেটাবলিজম বেড়ে
গিয়ে নিশ্বাসের হার বেড়ে যায়। হাইপারভেন্টিলেশন সিনড্রোমের কারণ স্পষ্ট নয়, তবে এটি উৎকণ্ঠা এবং প্যানিক ডিজঅর্ডারের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে। এটা মূলত একটি মানসিক সমস্যা।
এ
ক্ষেত্রে শরীরের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি শ্বাস নেওয়ার ফলে রক্তের কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ কমে যায় এবং রক্তে ক্ষারের মাত্রা বেড়ে যায়।
শ্বাসকষ্ট,
হাঁচি-কাশি, এবং গলা ব্যথার চিকিৎসায় প্রফেটিক মেডিসিন হিসেবে কুস্ত ব্যবহৃত হয়। কুস্ত নামক গাছের শিকড় অনেক বছর ধরে গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্টের চিকিৎসায়
ব্যবহার হয়ে আসছে। নবী হজরত মুহাম্মদ (সা:) এবং তাঁর কিছু সাহাবি কুস্তকে এসব রোগের চিকিৎসা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বিশুদ্ধতম হাদিস গ্রন্থ বুখারি শরিফে এবং আবু দাউদ শরিফেও কুস্তের উল্লেখ রয়েছে। কুস্ত আরবিতে কুদ আল হিন্দ নামে
পরিচিত।
বুখারির
৫,৬৯২ নম্বর হাদিসে উম্মে কাইস বিনতে মিহসান (রা:) বর্ণনা করেছেন, নবী (সা:) বলেছেন, "কুদ আল হিন্দ দিয়ে
চিকিৎসা করো। এটি গলার সমস্যায় এবং কণ্ঠ ও ফুসফুসের সূক্ষ্ম
ঝিল্লির প্রদাহে সহায়ক। এটি সাতটি রোগের চিকিৎসা করতে পারে।"
বুখারির
৫,৬৯৬ নম্বর হাদিসে আনাস (রা:) উল্লেখ করেছেন যে, নবী (সা:) বলেছেন, "তোমাদের সন্তানদের গলাব্যথা হলে তাদের গলায় চাপ না দিয়ে কুস্ত
দাও। এটি সাতটি রোগের উপশম করতে পারে, যার মধ্যে ফুসফুসের সমস্যা অন্তর্ভুক্ত।" আবু দাউদ শরিফে উম্মে কাইস (রা:) জানান, নবী (সা:) কুদ আল হিন্দ হিসেবে
ভারতীয় কুস্ত বোঝাতে চেয়েছেন।
আরেকটি
হাদিসে হজরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রা:) বলেন, নবী (সা:) একদিন একটি ছেলেকে দেখলেন, যার মুখ ও নাক থেকে
রক্ত ঝরছিল। নবী (সা:) জানতে চাইলেন কী হয়েছে। আয়িশা
(রা:) বললেন, ছেলেটি গলা সংক্রমণে ভুগছে। নবী (সা:) বলেন, "যেকোনো গলা সংক্রমণ বা মাথা ব্যথায়
কালো কুস্ত ব্যবহার করো এবং ছেলেটিকে এটি চুষতে দাও।" আয়িশা (রা:) নবীর নির্দেশ অনুসারে কুস্ত ব্যবহার করে ছেলেটিকে সুস্থ করে তোলেন। (মুসনাদ আবি ইয়ালা : ১৯১২)
কুস্তের
দুই প্রকার রয়েছে: কুস্ত আল হিন্দ, যা
কালো এবং গরম, এবং কুস্ত আল বাহরি, যা
মৃদু ও সাদা। কুস্ত
আল হিন্দ, কুথ আল সাংস্কৃত নামেও
পরিচিত, যা উত্তর-পশ্চিম
এবং উত্তর-পূর্ব হিমালয়ের পাদদেশীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। এটি ভারতীয় উপমহাদেশে নিউমোনিয়া, ফুসফুস সংক্রমণ এবং গলা সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। চীনা এবং কোরিয়ান ঔষধী বইয়ে কুস্তকে একই ধরনের রোগের চিকিৎসার জন্য উল্লেখ করা হয়েছে।
মক্কার
ম্যাটার্নাল অ্যান্ড চিলড্রেন হাসপাতালে কুস্ত আল হিন্দ নিয়ে
ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে, এবং মিসরে এই ওষুধের গবেষণা
চলছে। বাংলাদেশে চকবাজারের হার্বাল দোকানে কুস্ত পাওয়া যায়, এবং গাছ-গাছড়া নিয়ে ঔষধ প্রস্তুতকারীরা কুস্ত ব্যবহার করেন।
সুপ্রিম
কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মুহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন জানিয়েছেন যে, তিনি হাদিসে করোনা রোগের জন্য কোনো ওষুধ খুঁজছেন। তিনি কুস্ত ফুলের ছবি দেখে করোনাভাইরাসের ছবি সদৃশ মনে করেছেন। গবেষণা হলে হয়তো কুস্ত করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় কার্যকর হতে পারে। তিনি জানান, কিছু শুভাকাক্সক্ষী কুস্ত পাউডার ব্যবহার করে দ্রুত সুস্থ হয়েছেন। যদিও তিনি কুস্ত নিয়ে গবেষণা বা ব্যবসা করেন
না, তবুও এটি মানুষের উপকারে আসবে বলে মনে করেন।
রাতে শ্বাসকষ্ট হলে করণীয়
স্লিপ এপনিয়া হলো একটি জটিল সমস্যা যেখানে ঘুমের মাঝে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। এ সমস্যায় আক্রান্ত হলে ঘুমের সময় দশ সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট পর্যন্ত শ্বাস বন্ধ থাকতে পারে। এর ফলে, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়, এবং মস্তিষ্ক জেগে ওঠে, যা ঘুম ভাঙার কারণ হয়।
এ
রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা ঘুম ভাঙার পর শ্বাস নিয়ে
পুনরায় ঘুমিয়ে পড়েন, তবে গুরুতর ক্ষেত্রে এটি রাতে বারবার ঘটে, ফলে ঘুম পূরণ হয় না। যেহেতু
এই ঘটনা গভীর ঘুমের সময় ঘটে, রোগী সাধারণত এটি বুঝতে পারেন না, এবং সকালে ঘুম ভাঙার পর তাদের মনে
থাকে না। ঘন ঘন ঘুম
ভাঙার ফলে দিনে ক্লান্তি এবং ঘুম ঘুম ভাব দেখা দেয়।
সিওপিডি
(ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ) হলো ফুসফুসের দীর্ঘস্থায়ী রোগসমূহের একটি গুচ্ছ। এর মধ্যে রয়েছে
দীর্ঘস্থায়ী ব্রঙ্কাইটিস, এম্ফাসিমা, এবং দীর্ঘস্থায়ী অ্যাজমা। সিওপিডির কারণে শ্বাসনালির সরুতা, ফুসফুসের প্রদাহ, এবং বায়ু থলির ক্ষতি হতে পারে, যা শ্বাসকষ্টের সৃষ্টি
করে।
সিওপিডি
রোগীদের ঘুমে সমস্যা হতে পারে, যার ফলে তাদের ঘুমের মান ও সময় কমে
যায়, এবং রাতে শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ায় ঘন ঘন ঘুম
ভাঙতে পারে। এক গবেষণায় দেখা
গেছে, সিওপিডি রোগীদের মধ্যে ৬৬ শতাংশ স্লিপ
এপনিয়ায় ভোগেন। এই দুটি রোগ
একসঙ্গে হলে চিকিৎসকরা এটিকে ‘ওভারল্যাপ সিনড্রোম’ হিসেবে উল্লেখ করেন। সিওপিডি রোগীদের হার্ট অ্যাটাক, উচ্চ রক্তচাপ, পালমোনারি হাইপারটেনশন, অ্যারিথমিয়া, হার্ট ফেইলিওর, এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
ধূমপান
স্লিপ এপনিয়া এবং সিওপিডি উভয়ের জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ। এটি প্রদাহকে বাড়িয়ে দেয় এবং রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। এছাড়া অতিরিক্ত ওজন স্লিপ এপনিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়, যা পুরুষদের ক্ষেত্রে
৫০ শতাংশ এবং নারীদের ক্ষেত্রে প্রায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত
বৃদ্ধি পায়।
সিওপিডি
রোগীদের রাতে ঘুমের উপসর্গ যেমন নাক ডাকা, হাঁপানি, সকালে মাথাব্যথা, দিনের বেলা ক্লান্তি, স্থূলতা, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কম থাকা, কার্বন
ডাই অক্সাইড বৃদ্ধি, পালমোনারি হাইপারটেনশন, ডানদিকের হার্ট ফেইলিওর, পলিসিথেমিয়া, ডায়াবেটিস, হার্ট ফেইলিউর বা স্ট্রোকের ইতিহাস
থাকলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
স্লিপ
এপনিয়া নির্ণয়ের জন্য পলিসোমনোগ্রাফি বা স্লিপ টেস্ট
ব্যবহার করা হয়, যা ঘুমের সময়
শ্বাস-প্রশ্বাস, রক্তের অক্সিজেনের মাত্রা, এবং ঘুমের পর্যায়ের পরিবর্তন নিরীক্ষণ করে। কিছু ক্ষেত্রে, হোম স্লিপ টেস্টও ব্যবহার করা যায়, যেখানে রোগী নিজের বাড়িতে ঘুমিয়ে পরীক্ষা করতে পারেন।
চিকিৎসার
মধ্যে রয়েছে পিএপি (পজিটিভ এয়ারওয়ে প্রেসার) থেরাপি, অক্সিজেন থেরাপি, ব্রঙ্কোডাইলেটর এবং পালমোনারি রিহাবিলেশন। পিএপি থেরাপি সবচেয়ে প্রচলিত পদ্ধতি, যা ঘুমের মাঝে
শ্বাস বন্ধ হওয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে। নিয়মিত চিকিৎসার মাধ্যমে রোগের লক্ষণগুলো কমানো এবং জীবনের মান উন্নত করা সম্ভব।
হার্টের রোগীর শ্বাসকষ্ট হলে করণীয়
হৃদরোগীদের
মধ্যে শ্বাসকষ্ট বা সহজেই ক্লান্ত
হয়ে যাওয়াটা একটি সাধারণ উপসর্গ, যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই
হার্ট ফেইলিওরের কারণে হয়ে থাকে।
হার্টের
মূল উপাদান তিনটি—মাংসপেশি, রক্তনালি, এবং ভালভ। এই তিনটির যেকোনো
একটিতে সমস্যা হলে শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে, যেখানে রক্তনালির ব্লক অন্যতম প্রধান কারণ। রক্তনালিতে চর্বি জমে ধীরে ধীরে বা হঠাৎ বন্ধ
হয়ে যেতে পারে, যা হার্ট অ্যাটাকের
কারণ হতে পারে। এছাড়াও, মাংসপেশি দুর্বল হয়ে গেলে হার্ট ফেইলিওর হতে পারে, যা কার্ডিওমায়োপ্যাথি নামে পরিচিত।
এছাড়াও,
হার্টের ভালভ নষ্ট হলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে, যা বাতজ্বর, কার্ডিওমায়োপ্যাথি,
রক্তনালির ব্লক, এবং কিছু কোলাজেন ডিজিজের কারণে হয়ে থাকে। হার্টের চারপাশে পানি জমলেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
শ্বাসকষ্ট
শুধুমাত্র হার্টের সমস্যার কারণেই নয়, অন্যান্য রোগের কারণেও হতে পারে। যেমন—ফুসফুসের রোগ, তীব্র রক্তশূন্যতা, থাইরয়েডের সমস্যা, তীব্র সংক্রমণ, পানিশূন্যতা, ডায়াবেটিসজনিত জটিলতা, যেকোনো তীব্র সিস্টেমিক রোগ, এমনকি মানসিক আতঙ্ক থেকেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
করণীয়:
যদি হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তির হঠাৎ শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়, প্রথমেই নিশ্চিত করতে হবে যে শ্বাসকষ্টটি হার্টের
কারণে হচ্ছে কিনা। এর জন্য একজন
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শে ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাম, এবং বুকের এক্স-রে পরীক্ষা করা
জরুরি। শ্বাসকষ্ট চলতে থাকলে দেরি না করে দ্রুত
চিকিৎসা শুরু করা উচিত, কারণ হৃদরোগের ক্ষেত্রে সময়মতো চিকিৎসা শুরু করা সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।
যদি
সম্ভব হয়, অক্সিজেন স্যাচুরেশন পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় হলে অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া যেতে পারে। তবে পরীক্ষার মাধ্যমে রোগীর সঠিক চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে।
হৃৎপিণ্ডের
সেবা সারা জীবন ধরে করুন: মানুষের হৃৎপিণ্ড সারা জীবন তার সেবা করে আসছে, তাই আমাদেরও উচিত হৃৎপিণ্ডের যত্ন নেওয়া। নিয়মিত ব্যায়াম, সঠিক খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম, এবং
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করলে হৃদরোগ হলেও সুস্থ থাকা সম্ভব।