দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়

 


 বন্ধুরা আজ আমি তোমাদের সাথে ডায়াবেটিসের যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব তা হচ্ছে,দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়,ডায়াবেটিস নতুন ঔষধ নিরাময় হবে,ডায়াবেটিস নতুন ঔষধ ২০২৪,ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া উপায়,কি খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে,৭২ ঘণ্টায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ,ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায়,খালি পেটে ডায়াবেটিস কমানোর উপায়


দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়,ডায়াবেটিস নতুন ঔষধ নিরাময় হবে,ডায়াবেটিস নতুন ঔষধ ২০২৪,ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া উপায়,কি খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে,৭২ ঘণ্টায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ,ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায়,খালি পেটে ডায়াবেটিস কমানোর উপায়



 ডায়াবেটিস বর্তমান সময়ের অন্যতম প্রচলিত রোগযা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে জীবন বিপন্ন হয়ে যেতে পারে। আজ আমি ডায়াবেটিসের প্রধান লক্ষণসমূহ নিয়ে আলোচনা করবোযাতে আপনি সচেতন হয়ে যথাসময়ে পদক্ষেপ নিতে পারেন।

দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়

দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়,ডায়াবেটিস নতুন ঔষধ নিরাময় হবে,ডায়াবেটিস নতুন ঔষধ ২০২৪,ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া উপায়,কি খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে,৭২ ঘণ্টায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ,ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায়,খালি পেটে ডায়াবেটিস কমানোর উপায়


পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণঃ

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা জরুরি।তাদের হাল্কা এবং তেলহীন খাবার খাওয়া উচিত।এমনকি তারা তাদের খাবারটুকু একবারে না খেয়ে কয়েকবারে খেলে তাদের ডায়াবেটিসের মাত্রা ভাল পর্যায়ে থাকবে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকবে।তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যাক্তিকে অবশ্যই খাবারের প্রতি সচেতন থাকতে হবে।

ব্যায়াম করাঃ

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ব্যায়াম একটি ভাল উপায়। প্রতিদিন নিয়ম মেনে ব্যায়াম করলে শারীরিক ও মানসিক উন্নতি সাধিত হয়। এতে ওজন কমে যায় ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রিত হয়।তাই ডায়াবেটিস রোগীদের সুস্থ্য থাকার জন্য অবশ্যই নিয়মিত শরীর চর্চা বা ব্যায়াম করতে হবে।

কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার পরিহার করাঃ

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অবশ্যই সাধারণ কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। যেমন-  চাল বা চিনি।এ খাবারগুলো অতি সহজে শরীরে ভেঙ্গে যায় এবং দ্রুত শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।এতে দেহে গ্লকোজের মাত্রা বেড়ে যায়।সেজন্য এ জাতীয় খাবার গুলো বাদ দিতে হবে।অপরদিকে,ডায়াবেটিস  রোগীদের কঠিন কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে।কারণ এ জাতীয় খাবার শরীরে গিয়ে ভাঙ্গতে সময় লাগে এবং ধীরে ধীরে শরীরে শক্তি যোগায়। যেমন-গম,ভুট্রা ইত্যাদি।

পানি পান করাঃ

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যাক্তিকে অবশ্যই পানি পান করতে হবে।কারণ পানির মাধ্যমে শরীর থেকে প্রস্রাবে অতিরিক্ত গ্লুকোজ বের হয়ে যায়।ফলে ডায়াবেটিস একটি ভাল মাত্রায় থাকে।তাছাড়া পানি শরীরে ভিটামিন ও পুষ্টি ধরে থাকে।তাই পরিমাণমত পানি নিয়মিত পান করা ভাল।

মানসিক অবস্থা ভাল রাখাঃ

মানসিক দুশ্চিন্তা শরীরে শর্করার পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। এতে ডায়াবেটিস বেড়ে আপনার জীবনে নেমে আসতে পারে বিপদ।তাই দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন যাপন করার প্রতি যত্নবান হোন।

ঘুম যাওয়াঃ

মহান আল্লাহ তায়ালা রাতটাকে তার বান্দার বিশ্রামের জন্য দিয়েছেন।কারণ বিশ্রাম করলে সে সুস্থ্য থাকতে পারবে।তাই বলা যায়,ঘুম মহান আল্লাহর এক বিশেষ নেয়ামত।তাছাড়া ঘুম সঠিকভাবে গেলে শরীরে শর্করার মাত্রা কমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।আর নিয়ম মেনে ঘুম না গেলে মানুষ অসুস্থ্য হয়ে পড়ে এবং শরীরে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়।তাই একজন ব্যক্তির প্রতিদিন কমপক্ষে ৭-৯ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন।


ডায়াবেটিস নতুন ঔষধ ২০২৪

ডায়াবেটিসের নতুন তিনটি ঔষধঃ

দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়,ডায়াবেটিস নতুন ঔষধ নিরাময় হবে,ডায়াবেটিস নতুন ঔষধ ২০২৪,ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া উপায়,কি খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে,৭২ ঘণ্টায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ,ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায়,খালি পেটে ডায়াবেটিস কমানোর উপায়


ওমারি, ইমেগলু ও গ্লিফো।

এই ৩ টি ঔষধ আমাদের দেশে তৈরি ।এটি আমাদের দেশের স্বনামধন্য কোম্পানী দি একমি ল্যাবরেটরীজ লিমিটেড এর তৈরি।এ ঔষধগুলো  টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বড়ই কার্যকর।তাছাড়াও ব্যয় ও কম হবে।কারণ এই ঔষধটি দিনে ১ বার খেলেই হবে।এমনকি এই ঔষধগুলো রক্তের শর্করার পরিমাণ কমানো,বিটাসেলের উন্নতি সাধন এবং ইনসুলিন তৈরি ও মাইটোকন্ড্রিয়ার কার্যকারীতা বাড়াতে বেশ ভূমিকা রাখে।

ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া উপায়

১.নিয়মিত ব্যায়াম বা শরীর চর্চা

নিয়মিত ব্যায়াম বা শরীর চর্চা করলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ইনসুলিন সিনসিটিভিটি বেড়ে যায়।মানে কোষে ইনসুলিন হরমোন ভালভাবে কাজ করে।কমপক্ষে সপ্তাহে ৫ দিন ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।তবে সপ্তাহ জুড়ে ব্যায়াম করা বেশি ভাল।আর ভাল ফলাফল পেতে হলে আপনাকে প্রতিদিন হাঁটতে হবে,দৌঁড়াতে হবে,সাইকেল চালাতে হবে।এমনকি প্রয়োজনে জীমে গিয়েও ব্যায়াম করতে হবে।


২.কার্বোহাইড্রেট খাবার কম খাওয়া

কোনভাবেই অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট খাবার খাওয়া যাবেনা।একথা সত্য যে,কার্বোহাইড্রেট আমাদের শরীরে শক্তির যোগান দেয়।যেহেতু কার্ব শরীরে সুগার বা শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।তাই ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে তা হিসাব করে গ্রহণ করতে হবে।যেমন- ভাত ও রুুটি।

৩.সুগার কন্ট্রোলে ফাইবার খান

ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরের শর্করা নিয়ন্ত্রণে ফাইবারের জুড়ি নেই।তাই ডায়াবেটিস দূর করতে প্রতিদিন ফাইবার বা আঁশযুক্ত খাবার খান।ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারগুলো নিন্মরুপঃ
  • ডাল
  • বার্লিও ওটস
  • ফলমূল
  • যেকোন ধরনের শাকসব্জি
  • শিম,মটরশুটি ও বিন জাতীয় খাবার

৪.পর্যাপ্ত পানি পান করাঃ

আমরা জানি ,পানির অপর নাম হলো জীবন।আর তা ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রেও চরম সত্য।পানি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করে।তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান  করুন।কিডনি পানির মাধ্যমে আপনার শরীরে থেকে বর্জগুলো পস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেয়।তাছাড়া অপ্রয়োজনীয় সুগার বা শর্করা ও দেহ থেকে বের করে দেয়।ফলে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।বুঝলেন তো কেন পানি পান করবেন?


৫.দুশ্চিন্তা মুক্ত জীবন-যাপনঃ

দুশ্চিন্তা এমন একটি খারাপ জিনিস,যা শরীরে কর্টিসল ও গ্লুকাগণ নামক হরমোন বৃদ্ধি করে।আর এ হরমোনগুলো দেহে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।তাই আমি বলবো যতদূর সম্ভব দুশ্চিন্তাকে গুডবাই জানান।তাছাড়া সুস্থ্য থাকতে মাইন্ডফুলনেজ যোগা ও করতে পারেন।তবেই আপনার শরীরের সুগার বা শর্করার মাত্রা থাকবে অনেক দূরে।

কি খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে

ডায়াবেটিসের মাত্রা কমাতে নিচের খাবারগুলো খাবেন:
  • টমাটো,শসা,বেগুন,মাশরুম ও সবুজ শাকসব্জি খেতে হবে।
  • নিয়মিত মিষ্টি আলু খেতে হবে।কারণ এটি শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
  • ব্লেন্ড চা দিয়ে তৈরি রং চা খান।এটি রাতে খেলে দেহ সতেজ থাকবে।
  • অলিভ ওয়েল তেল দিয়ে সালাদ বানিয়ে খান।এটি ও শর্করার মাত্রা কমিয়ে দিবে।

ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া উপায়

৭২ ঘন্টায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করা যাবে।কোন প্রকার ঔষধ সেবন না করে মেডিটেশন,ব্যায়াম ও নিয়মতান্ত্রিক জীবন-যাপনের মাধ্যমে।বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে,যারা দীর্ঘদিন ইনসুলিন সেবন করতেন,তারা দিন দিন অসুস্থ্য হয়ে পড়তেন এবং একটু সুস্থ্য থাকতে ইনসুলিন নিতেন,যা কষ্টসাধ্য ও ব্যয়বহুল।পরবর্তীতে ঐ ব্যক্তিগণ মেডিটেশন,ব্যায়াম ও নিয়মতান্ত্রিক জীবন-যাপন করেন এবং সুস্থ্য হয়ে ওঠেন।তাই এটি করে মাত্র ৭২ ঘন্টায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব।

ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
কোন প্রকার ঔষধ সেবন না করে মেডিটেশন,ব্যায়াম ও নিয়মতান্ত্রিক জীবন-যাপনের মাধ্যমে।

খালি পেটে ডায়াবেটিস কমানোর উপায়

৩টি গাছের পাতা খেলে ডায়াবেটিস কমবেঃ

ভুঙ্গরাজ পাতা: 

এই গাছের পাতা এন্টি ডায়াবেটিকে ভরপুর,যা এনসিবি এর গবেষণায় প্রমাণিত হয়। এই পাতা চিবিয়ে খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায় এবং দেহে ইনসুলিনের পরিমাণ বেড়ে যায়।তাই সারাদিন ডায়াবেটিস হতে মুক্ত থাকলে হলে অবশ্যই উক্ত গাছের পাতা ব্যবহার করুন।

কস্টাস ইগনিয়াসঃ

কস্টাস ইগনিয়াস ইনসুলিন প্লান্ট নামে পরিচিত।এতে অনেক বেশি পরিমাণে অ্যান্টি ডায়াবেটিক উপাদান রয়েছে,যা দেহের শর্করার মাত্রা হ্রাস করে।তাছাড়া এটি চিবিয়ে খেলে আরও ভাল কাজ করে।

ইউক্যালিপ্টাস পাতাঃ

এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে দারুন ভূমিকা রাখে।ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এই গাছের তেল ও পাতা খুবই কার্যকর,যা বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত।তাছাড়া এই গাছের  তেল টুথপেস্ট,সাবান ও ক্রীম এ অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url