পেয়ারার গুনাগুন ও উপকারিতা health-benefits-of-guava-fruit
বন্ধুরা আজ তোমাদের সাথে পেয়ারা নিয়ে যে যে বিষয়গুলো আলোচনা করব,পেয়ারার গুনাগুন ও উপকারিতা,লাল পেয়ারার উপকারিতা,পাকা পেয়ারার উপকারিতা,গর্ভাবস্থায় পেয়ারার উপকারিতা,পেয়ারা পাতা খাওয়ার উপকারিতা,খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা,পেয়ারা খাওয়ার নিয়ম,পেয়ারা খাওয়ার অপকারিতা,পাকা পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা,
পেয়ারার গুনাগুন ও উপকারিতা, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল হচ্ছে পেয়ারা।এটি অনেক সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে ভরপুর খুবই জনপ্রিয় একটি ফল। এ ফলটি বর্ষা মৌসুমের ফল হলেও তা সারা বছরই পাওয়া যাচ্ছে।অধিক পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ হওয়ায় এ ফলটি 'Super Fruit' পরিচিত।এটি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া,মধ্য আমেরিকা,মেক্সিকো প্রভৃতি দেশে জন্মে।তবে বর্তমানে বাংলাদেশে ও প্রচুর পেয়ার চাষ হচ্ছে।অন্যান্য ফল থেকে এ ফল দামে ও সস্তায় পাওয়া যায়।পেয়ারার প্রায় ১০০ টির ও বেশি প্রজাতি আছে।তো চলুন এ ফলের গুনাগুন ও উপকারিতাগুলো জেনে নেইঃ
পেয়ারার গুনাগুন ও উপকারিতা
ভিটামিন সিঃপেয়ারার গুনাগুন ও উপকারিতা, পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি।আপনি জেনে অবাক হবেন যে, ১০০ গ্রাম পেয়ারায় ১৮০ মি.গ্রাম ভিটামিন সি থাকে।যা ঠান্ডা ও কাশি সারাতে বেশ কার্যকর।তাছাড়া ফুসফুস,শ্বাসতন্ত্র ও গলাকে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া হতে রক্ষা করে।এ ফলটি হার্টের রোগীদের জন্য খুবই ভাল।কারণ এটি রক্তসঞ্চালন প্রক্রিয়া সঠিক রাখে।তাই নিয়মিত পেয়ারা খেতে পারেন।
ভিটামিন ’এ’ ঃ পেয়ারায় রয়েছে গুরুত্বপুর্ণ ভিটামিন এ যা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে আমাদর দেহকে সুরক্ষিত রাখে।
পেয়ারার গুনাগুন ও উপকারিতারো,গ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ পেয়ারা আমদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ফলে আমাদের শরীর নানা রকম জীবাণু থেকে সুরক্ষিত থাকে।ফলে সহজে কোন রোগ দেহে প্র্রবেশ করতে পারেনা।
পেয়ারার গুনাগুন ও উপকারিতা, পাকস্থলি ও ত্বক ভাল রাখেঃঅ্যাস্ট্রিজেন্ট ও অ্যান্টি-মাইক্রোবাল উপাদান থাকায় তা আমাদেরকে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া হতে সুরক্ষা দেয়।তাছাড়া এটি আমাদের পাকস্থলিকে ভাল রাখে এবং শরীরের স্কিন বা ত্বক টানটান ও সতেজ রাখতে সাহায্য করে।
ডায়রিয়াঃ পেয়ারা অমাদের পাকস্থলিতে ডায়রিয়ার প্রকোপ কমিয়ে দেয়।তাই ডায়রিয়া হতে বাঁচতে পরিমাণমত পেয়ারা খেতে পারেন।
রোগ নিরাময়ঃ পেয়ারা এমন একটি সহজলভ্য ফল এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ যা ক্যান্সার,প্রোস্টেড ক্যানসার,ডায়াবেটস ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ করে থাকে।তাই আমরা পেয়ারা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলবো।
এমনকি পেয়ারায় রয়েছে ভিটামিন কে,ক্যালসিয়াম,পটাসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম,প্রোটিন ও খনিজ উপাদান।
পেয়ারায় ম্যাগনেসিয়াম থাকায়,তা আমাদের মাংসপেশি ও নার্ভাস সিস্টেমকে রিলাক্স রাখতে সাহায্য করে।
তাছাড়া পেয়ারার পাতায় রয়েছে এন্টি-ইনফ্লামেটরি ও এন্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ইনফেকশন এবং জীবাণুর সাথে লড়াই করে।পেয়ারার পাতা দাঁত ব্যথা নিরাময়ে বড়ই কার্যকর।তাই ঘরে বসেই চিকিৎসা সেড়ে নিন।
লাল পেয়ারার উপকারিতা
আয়রণের ঘাটতি পূরণ করেঃ
পেয়ারার গুনাগুন ও উপকারিতা,লাল পেয়ারা আয়রণ সমৃদ্ধ একটি ফল।এটি খেলে আয়রণের ঘাটতি পূরণ হবে।গর্ভবতী মহিলাদের জন্য এটি হতে পারে আদর্শ খাবার।
পটাসিয়াম সমৃদ্ধ ফলঃ
পেয়ারার গুনাগুন ও উপকারিতা,লাল পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পটাসিয়াম,যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
রোগ নিরাময়ঃ
পেয়ারার গুনাগুন ও উপকারিতা,প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে লাল পেয়ারার সুনাম রয়েছে।তাছাড়া এটি শরীরে টিউমার তৈরিতে বাধা দেয়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণঃ
পেয়ারার গুনাগুন ও উপকারিতা,লাল পেয়ারায় শর্করার পরিমাণ কম থাকে,ফলে এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে।
গর্ভাবস্থায় পেয়ারার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় মহিলারা মুখরোচক খাবার খেতে বেশি পছন্দ করেন। তবে এ সময় বেশি পাসপোর্ট বা বাইরে খাবার তাদের জন্য মোটেই ভালো নয়।কারণ এসব খাবার তাদের শরীরে নানাবিদ সমস্যা সৃষ্টি করে। চিকিৎসকদের মতে, এ সময় বেশি করে শাকসবজি, ফলমূল, ড্রাই ফুট্স এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার জন্য বলেছেন। তবে বেশ কিছু ফল আছে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর কিন্তু পেয়ারা তাদের জন্য খুবই উপকারী।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন
গর্ভাবস্থায় মহিলাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। এছাড়া গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার ফলে গর্ভপাত এবং অকাল জন্মের সম্ভাবনা কমে যায়।
কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ
কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে পেয়ারা ফাইবার সমৃদ্ধ একটি ফল, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত কোলেস্টেরল থাকলে কার্ডিওভাসকুলার জনিত সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে, যা গর্ব অবস্থায় বেশ বিপজ্জনকও হতে পারে। তাই পেয়ারা পরিাণমত খান এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি কমায়
গর্ভাবস্থায় রক্তশূন্যতা দেখা দেয়, ফলিক এসিড সমৃদ্ধ পেয়ারা রক্ত সল্পতা দূর করতে খুবই কার্যকর। আর রক্তস্বল্পতার অভাব হলে শরীরে পর্যাপ্ত অক্সিজেন ক্ষমতা কমে যায়। এটি মা এবং শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
পেশী ও স্নায়ুতন্ত্রের উন্নতি সাধনের সাহায্য করে
পেয়ারা গর্ভাবস্থায় পেশী এবং স্নায়ুতন্ত্রকে উন্নত করে থাকে। ফলে অবসাদমুক্ত এবং মাথা ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
ইনফেকশন প্রতিরোধ করে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ পেয়ারা ইনফেকশন প্রতিরোধ করে। পাশাপাশি ভিটামিন এ,সি ও ই সমৃদ্ধ হওয়ায় তা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং অসুস্থতা ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
গর্ভকালীন সময়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
পেয়ারা কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি গর্ভকালীন সময়ে মহিলাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। কারণ গর্ভাবস্থায় মহিলাদের শরীরে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে এটি তাদের জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই এ সময়ে পেয়ারা খেলে তাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
পেয়ারা গর্ভাবস্থায় মহিলাদের হজমের সমস্যা দূর করে এবং হজম প্রক্রিয়া আরো সহজ করে তোলে। পেয়ারায় পটাশিয়াম থাকায় এটি এসিডিটি ,বুক জ্বলা এবং অম্বলের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
শিশুর বৃদ্ধিতে কাজ করে
যেহেতু পেয়ারায় ফলিক এসিড ,ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন B9 রয়েছে, যা শিশুর মস্তিষ্ক এবং হাড়ের বিকাশে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য এবং এমব্রয়েড ধরনের সমস্যা দেখা দেয়, ফলে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে এসব সমস্যা আরও বেশি দেখা দিতে পারে। তাই পেয়ারা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে পারে। কারণ পেয়ারা ফাইবার এবং জল সমৃদ্ধ থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় হয়।
পেয়ারা খাওয়ার অপকারিতা
প্যার কি অধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি ফল এটি ভিটামিন সি ও ফাইবার সমৃদ্ধ আর প্রাইভেট সমৃদ্ধ থাকায় অনেক সময় হজমে ত্রুটি দেখা দেয় তাছাড়া অধিক পরিমাণে পেয়ারা খেলেও ক্ষতি হতে পারে আপনার শরীরের তো চলুন কি কি ক্ষতি হতে পারে সেগুলো জেনে নেই
প্যারা ঠান্ডা জন্য ফল হয় এটি অনেক সময় অধিক পরিমাণে খেলে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে তাছাড়া ঠান্ডা রোগে ভুগছেন কেউ যদি তারা যদি এটি খাওয়া খায় তাহলে তাদের ঠান্ডা আরো বেশি বেড়ে যেতে পারে তাই এটি ক্ষতির কারণ হতে পারে গর্ভবতী মায়েরা পায়রা খাওয়া থেকে অধিক পরিমাণকে রাখা থেকে বিরত থাকতে হবে কারণ প্যারা ফাইবার থাকায় হজনের ত্রুটি হতে পারে ডায়রিয়া মশা রোগে যারা ভুগছেন তারা প্যারা না খাওয়াই ভালো কারণ এটি আপনার ডায়েরি ও আমার সাথে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে পেয়ারার পাতা বেশি পরিমাণে খেলে আপনার মাথাব্যথা থেকে শুরু করে কিডনির সমস্যা পর্যন্ত হতে পারে
পেয়ারায় চিনি থাকে যাকে আমরা বলি ফ্রকটোজ আর এই চিনি বা প্রপোজ আপনার শরীরে অতিরিক্ত ফোলা ভাব এবং গ্যাস সৃষ্টি করতে পারে তাই তাদের এ ধরনের ফোলা ভাব বা গ্যাস রয়েছে পেটে তারা পেয়ারা খাওয়া থেকে দূরে থাকুন